মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

 পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পেশা গত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক জামাল হোসেন আকনের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ দিনেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। এতে সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মোঃ জামাল হোসেন আকন দৈনিক আমার সংবাদ, এশিয়ান টিভি এর মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি।

তিনি মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ড বহেরাতলা বেপারী বাড়ির জনৈক ইব্রাহীম বেপারী ও সেকান্দার বেপারীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তিন বছর পূর্বে সেকান্দার বেপারীর সন্ত্রাসী বাহিনী ইব্রাহীমের বসত ঘর গুড়িয়ে দিয়ে ছিল। সেটা ছিল তৎকালিন সময় মঠবাড়িয়ায় শীর্ষ সংবদ। সেই সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক জামাল এর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি।

গত ৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে সেকান্দার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা ইব্রাহীমের বসত ঘরের সামনে জমি দখল করে একটি ঘর উত্তোলন করে। খবর পেয়ে সাংবাদিক জামাল ও সোহেল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার পেশাদার মাস্তান রত্তন, সেকান্দার, কালাম, মনু বেপারীসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন । সাংবাদিক জামালের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা সিনিয়ে নেয়। স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সাংবাদিক জামাল হোসেন আকন দৈনিক জাগো কন্ঠ কে বলেন, ঘটনার সাথে-সাথে এবং পরবর্তিতে আবারও পুলিশ ঘনাস্থল পনিদর্শন করলেও এমনকি লিখিত অভিযোগ দিলেও গত ৫ দিনে রহস্য জনক কারনে মামলা নেয়নি। পৌর শহরের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা জানান, রত্তন, সেকান্দার, কালাম, মনু বেপারী এদের নিদর্িৃষ্ট একটি বাহিনী রয়েছে। এরা পৌর শহরের পকেটমার, ছিনতাই, চুরি ও ফিটিং (ঠেকিয়ে চাঁদা আদায়) করে বেড়ায়। এদের ভয়ে এলাকায় কথা বলতে কেউ সাহস পায়না। এদিকে একজন সাংবাদিক এর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন, মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, রিপোটার্স ইউনিটি, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সুশিল সমাজ। নেতৃবৃন্দ অপরাধীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান। মঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুপ্তের সাথে দেখছি, আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *