ভুয়া মুক্তি যোদ্ধাদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।

মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও মুক্তি যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে আংশ গ্রহন কররেও তালিকা ভুক্ত হতে পারেনি গেপালগঞ্জের “ হিরু ফকির ও রতন আলী মোল্লা ”।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের আগুন ঝরা ভাষন ও বঙ্গবন্ধু আহ্বানের সাড়া দিয়ে মুক্তি যুদ্ধে আংশ গ্রহন করেন দেশ প্রেমি হাজার হাজার সাধারন মানুষ, স্কুল ছাত্র, নবীণ, প্রবীণ অনেকে। সকলেই বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রনিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে স্বাধীন ও মুক্ত করার জন্য এ লড়াই এ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজের জীবনের পরোয়া না করে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমে ছিল, দেশকে দখলদার মুক্ত করার জন্য।

তেমই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন গোপালগঞ্জের হিরু ফকির, পিতা মৃত-আছির উদ্দিন ফকির, খাটিয়াগড়, গোপালগঞ্জ এবং রতন আলী মোল্লা, পিতা মৃত- ওমেদ আলী মোল্লা, ফায়ার সার্ভিস রোড, গোপালগঞ্জ।

হিরু ফকির গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ট্রেনিং এর জন্য চলে যাই ভারতের পলতা ক্যাম্পে। ওখান থেকে ট্রেনিং শেষ করে বাংলাদেশে আসি, আমাদের ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলেন খুলনার সুফিয়ান ভাই। রেলিগেট এসে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান করি। দেশ শক্র মুক্ত হওয়ার পর আমি মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক জেনারেল এম এ জি আতাউল গনি ওসমানী সনদ প্রাপ্ত হই। আমার ফ্রিডম ফাইটার নং – ফ ১৯৩৮৯। মুক্তি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইব্রাহিম ভায়ের নেতৃত্বে মহাকুমা গোপালগঞ্জে অস্ত্র জমা দেই মিলেশিয়া ক্যাম্পে এবং আমাদেরকে ৩ মাসের ভাতা দেওয়া হয় ১৫০ টাকা। ১৯১৭ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমাকে একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেন। আমি ইতিপূর্বে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমার মুক্তিবার্তা নংÑ ০১০৯০১০৫২০ ।

গোপালগঞ্জে আরও একজন সসস্ত্র যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী রতন আলী মোল্লা বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গেপালগঞ্জের মানিহার গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করি। আমাদের তৎকালীন সময় যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ইব্রাহীম ভাই, তিনি আমাদের যুদ্ধ কালীন সময়ের কমান্ডা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে আমরা ইব্রাহীম ভায়ের নেতৃত্বে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহাকুমা মিলেশিয়া ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দেই। সেই সময় আমাদেরকে তিন মাসের ভাতা দেওয়া হয় ১৫০ টাকা এবং আমাদের সকলের নাম অস্ত্র জমা দেওয়ার লিষ্ট করা হয়। যুদ্ধ পরবর্তী কালে আমাকে জেনারেল এম এ জি আতাউল গনী ওসমানী সনদ দেওয়া হয়, যাহার ফ্রিডম ফাইটার নং-৯০৬২০। ১৯১৭ সালের জাতীয় মুিক্তযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কতৃক আমাকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভুক্ত করার সুপারিশ করেন । ইতিপূর্বে একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা হিসাবে আমার ডাটা বেইজ ফরম আছে যাহার নাম্বার-০৩০৪০১১৪৫৪। আমার মুক্তিবার্তা আছে যাহার নংÑ০১০৯০১০৯২১।

দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, আমরা বিভিন্ন সময়ের যাচাই বাছাই কালে আবেদন করেছি কিন্তু রহস্য জনক ভাবে আমাদের কে মুক্তি যোদ্ধা হিসাবে সকৃতি দেওয়া হয় নাই। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তি যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি চাই। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে কবরে যেতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা জাতির জনক, বাঙ্গালী জাতির গর্ভ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নজরদারি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *