ভালুকায় খাদ‍্য-ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট থেকে গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় খাদ্য ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক মেহেদী হাসান আরাফাতকে(২১) সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা থানা পুলিশ। তার ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন আজ শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার সিলেটের কোতোয়ালি থানাধীন লাল বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান আরাফাত ওরফে কালা মিয়া ভালুকার ধীতপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সোমবার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে উপজেলার ধীতপুর গ্রামে ছুরিকাঘাতে পোল্ট্রি খাদ্য ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। আসাদুল উপজেলার ভাওয়ালিয়াবাজু গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে।

তিনি ভাওয়ালিয়াবাজু বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের ব্যবসা করতেন। থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সময়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসাদুল ইসলাম ভাওয়ালিয়াবাজু থেকে অটোযোগে ধীতপুর গ্রামে গিয়ে নামেন। ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আসাদুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আসাদুলকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ আসাদুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার আসাদুল ইসলামের ছোট ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে এই ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মেহেদী হাসান আরাফত ওরফে কালা মিয়া (২১), ঝন্টু মীরের ছেলে রবিন (১৭) ও তাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বীর আহাম্মেদকে (১৭) আসামি করা হয়। এদিকে, মামলা দায়েরের পর পরই থানা পুলিশ তৎপর হয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার এবং মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামি রবিন ও সাব্বীর আহাম্মেকে গ্রেপ্তার করে।

তবে, ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান আরাফত ওরফে কালা মিয়া। মেহেদী হাসান আরাফাত ওরফে কালা মিয়াকে গ্রেপ্তারকারী ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, আত্মগোপনে থাকা মামলার ওই আসামিকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন লাল বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আসাদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *