গোপালগঞ্জে নিজ উদ্যোগে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে ওই এলাকার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি দূর করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তারুণ্যের আইকন, যুবনেতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পথচারীদের পারাপারের প্রেক্ষাপটে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটার বিষয়টি তার নজরে আসার পরেই মানবিক নেতা শেখ ফজলে নাঈম তার ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। সদ্য নির্মিত ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন।
শুধু তাই নয় মালামাল ভর্তি ভ্যান, রিক্সা ও অটোরিক্সা পারাপারের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্রিজটি বেশ চওড়া করে নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে এ সংক্রান্তে একটি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের সূত্রধরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়নের ফলসি চরপাড়া গ্রামের খালে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ব্রিজ বা কালভার্ট না থাকায় এলাকার জনগণ নিজ উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করতো।
এরমধ্যে বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে মায়ের পা ফসকে যাওয়ায় কোল থেকে পানিতে পড়ে মারা যায় ১০ মাসের এক শিশু। ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ওই নিউজ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমের নজরে আসে। পরে তিনি ওই এলাকা পরিদর্শনে যান এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে নিজ অর্থ ব্যয় করে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, পত্রিকায় খরব দেখে আমি ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাই।
পরে মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে নিজেই একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছি। এলাকার মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।