বেক্সিমকো গ্রুপের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা জমিতে নিষেধাজ্ঞা নোটিশ ।

 ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার নিকটবর্তী ওবেক্সিমকো গ্রুপের সানসিটি প্রজেক্টের জমি ক্রয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকতাদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আরিফুল ইসলাম বিভিন্ন লোকের নিকট জমি কেনার মিথ্যা বানোয়াটী গল্পটি করে নিজেকে খুব সৎ ধার্মীক জাহির করে সাংবাদিকদের প্রকাশিত সংবাদ কোম্পানির বিপক্ষে বলে কোম্পানির মালিক কর্তৃপক্ষকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দূর্দান্ত চালাক ও কৌশলী। তাদের ব্যক্তিগত দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ গুলি কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে ভিন্ন্য খাতে চাপিয়ে দিয়ে তাদের দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন।
জিএম আরিফুল ইসলাম ও হুজুর ইউনুস আলী কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল চেয়ারে বসে কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট করে আর্থিক ভাবে কোম্পানিকে যে অপূর্ণীয় ক্ষতি করিতেছেন। মালিক কর্তৃপক্ষ যদি এই দুই অসৎ কর্মকর্তার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হন তাহলে ভবিষ্যতে কোম্পানি বিশাল ক্ষতি ও বদনামীর মুখে পড়তে পারে।
মোতালেব জানানঃ কাগজপত্রে জাল জালিয়াতি ও ভূয়া মালিকানার কাছ থেকে ৫ একর জমি ক্রয় করে ইতোমধ্যে কোম্পানিকে অপূর্বনীয় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ জিএম আরিফুল ইসলাম ও হুজুর ইউনুস আলী। কেঁচো খুড়তেই বেড়িয়ে আসলো সাপ কথাটি নীতি বাক্য হলেও এর তাৎপর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানির এই ৫ একর জমির কাগজপত্রের সাথেই সংশ্লিষ্ট রয়েছে মোট ১৫.৫৮ একর জমি। যাহার বর্তমান মালিক মামলার বাদী আবদুল মোতালেব ও মোঃ মুক্তার হোসেন। কথায় আছে মরা শামুকে পা কাটে। পরিস্থিতি যে কোন সময় অনুকূল বা প্রতিকূল হাতে পারে। ৫ একর জমির আড়াই কোটি টাকা আত্নসৎ এর ব্যক্তিগত দুর্নীতি কোম্পানির লোগো আর ক্ষমতার দাপটে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে নিজেরাই ফাঁস করলেন আরো ১০.৫৮ একর জমির ভয়ংকর তথ্য। ঠেলে দিলেন কোম্পানিকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে।
উক্ত প্রজেক্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে জানা যায়, কোম্পানি নাকি উক্ত প্রজেক্ট হতে বিশাল পরিমাণ জমি বিদেশি কোন কোম্পানির নিকট চুক্তি ভিত্তিক লিজ দিয়েছেন। যে জমি নিয়ে জিএম আরিফুল ইসলাম ও হুজুর ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়ছে আর আদালত কর্তৃক জমির উপর নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারি করেছে সে জমি আদোও কি বিদেশি কোম্পানি লিজ নিবেন? এমন পরিস্থিতিতে উভয় কোম্পানিকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়ে অপূর্ণীয় ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছেন এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
জমির কাগজপত্রে এবং জমির আইন কানুনে অন-অভিজ্ঞ এই দুই কর্মকর্তার কাছে কোম্পানি জমির দায়িত্ব দেওয়ার মানে হয়ে দাড়িয়েছে কামার দিয়ে যেমন নাপিতের কাজ করানো। বাস্তবে যে তারা জমির আইন কানুন ও কাগজপত্রে অজ্ঞ তা নিজেরাই তাদের দুর্নীতির মাধ্যমে প্রমাণ করলেন। শেষমেশ সত্য মিথ্যে প্রমাণের জন্য দাড়াতে হচ্ছে তাদের আদালতে কাঠগড়ায়।
সিরাজ মেম্বারের ৫১৯ নং না দাবী দলিল ও ১৩/২০০৫ মামলার রায়ের বলে তার কাছ থেকে কম দামে জমি ক্রয় করে এই দুই দুর্নীতবাজ কর্মকর্তা যেমন করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা তেমনি ভাবে সাতপাঁচ বুঝিয়ে কুড়িয়ে ছিলেন কোম্পানির প্রশংসা। নিজেদের দুর্নীতি ধামাচাপা চাপা দিয়ে কোম্পানির নিকট থেকে কুড়িয়ে পাওয়া প্রশংসা ধরে রাখতে পারবেন তো?
সিরাজ মেম্বারের নাদাবী ৫১৯ নং দলিল আর ১৩/২০০৫ মামলা রায়ের ভিত্তিতে ৫ একর জমি ক্রয় করে জিএম আরিফুল ইসলাম ও হুজুর ইউনুস আলী মিথ্যে নাটক ও গল্প সাজিয়ে কোম্পানিকে সাতপাঁচ বুঝানোর চেষ্টা করে তারা যে সঠিক তা প্রমান করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিরাজ মেম্বারের কাগজপত্রে কতটা ভয়ংকর গোপনীয় তথ্য রয়েছে তাহা আদালতের মাধ্যমেই ফাঁস করে সত্য মিথ্যে প্রমানিত করা হবে ইনশাআল্লাহ ।
এলাকাবাসী জানান জিএম আরিফুল ইসলাম সাহেবকে বলবো জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আপনি যে ভুল পথে হাঁটছে আর কোম্পানির মালিকদের সাতপাঁচ বুঝিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করতেছেন এটা কিন্তু ঠিক করছেন না। হুমকি ধামকি আর মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কলম আর মুখ বন্ধ করা যায় না। সুতরাং এ সব বাদ দিয়ে জমির কাগজপত্রে কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করে নিজে যে সৎ তা প্রমাণ করুন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *