বিয়ে হলো ধর্ষীত হওয়া অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর, সন্তান পেল পরিচয়


বাংলাদেশে যৌন হয়রানির ও ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। হয়রানি বা নিপীড়ন আক্রমণাত্মক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ইহা সাধারনত সেই সকল আচরণকে বোঝায় যার দ্বারা কেউ অস্বস্থি বা বিচলিত বোধ করে এবং তার পুনরাবৃত্তি করা হয়।আইনি বোধে যার দ্বারা কাউকে পীড়া দেওয়া বা ভীতিপ্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তির নিকট যৌন হয়রানি নাছোড়বান্দা আর অনাকাঙ্ক্ষিত অসৎ দিকে অগ্রসর করে, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে, যেখানে অস্বীকার করার পরিণাম হচ্ছে সম্ভাব্য অসুবিধা। ধর্ষণ এখোন বাংলাদেশ পরিচিত শব্দ।
তেমনই এক ধর্ষিতা নারীর গল্প উঠে এলো আবারো। তবে এবার এবার একটু ভিন্নধর্মী। কালের কণ্ঠে গত ২৩ জুলাই “প্রভাবশালীর ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্কুলছাত্রী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরদিনই অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর ধর্ষকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার পশ্চিম কাঠিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও বিবাহের হলফনামা সূত্রে জানাগেছে, ওই গ্রামের আনরিয় পাড়াইর ছেলে অমিত পাড়াই (২০) একই উপজেলার খ্রীস্টান ধর্মের ফেলোসিফ মন্ডলির এক হতদরিদ্র পরিবারে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়াতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয় দিলে ধর্ষিতার পরিবার গর্ভের সন্তানের পিতার পরিচয় পাওয়ার জন্য মামলা করতে সাহস পাচ্ছিল না। ধর্ষকের ভয়ে ধর্ষিতা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মিডিয়ায় প্রকাশের পরে ধর্ষকসহ তার পরিবারের টনক নড়ে। পরদিনই (২৪ জুলাই) ঢাকা মিরপুর ৯৯৩ নম্বর পূর্বমনিপুর বসে ধর্মীয় বিবাহ রেজিস্ট্রি বহিতে অন্তরভূক্ত করা হয়। এ ছাড়াও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তারে পিতার স্বীকৃতি দিয়ে ঢাকা আদালতের এডভোকেট উত্তম হালদারে মাধ্যমে ঢাকা বারের নোটারী পালিকে হলফনামা প্রদান করে। এ ব্যাপারে এডভোকেট উত্তম হালদার বলেন, ছেলে অমিত পাড়ৈ (২২) ও মেয়ে ঐশী রায় (১৮) আমার কাছে আসলে আমি তাদের বিবারে হলফনামা দুইশত টাকার স্ট্যাম্পের ঢাকা বারের নোটারী পালিক করে দিয়েছি।
ওই হলফনামায় অমিত পাড়ৈ তার অপরাধ স্বীকার করেছ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিস্টার সুদীন সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ মিডিয়া আসলে ফেলোসিফ মন্ডলির স্কুলছাত্রী ঐশী রায় ও অমিত পাড়ৈ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ফেলোসিফ মন্ডলির সম্পাদক অনন্দ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে আমাদের ফেলোসিফ মন্ডলির বিধানমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত অমিত পাড়ৈ বলেন, ঐশীর সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে তার সাথে গর্ভীর ভাবে মেলামেশা করি। এক পর্যায়ে ঐশী রায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঐশী রায়ের গর্ভের সন্তান আমার। আমি ঐশীকে ২৪ জুলাই বিবাহ করেছি।