বিধবা নারীর সম্পত্তির রক্ষার্থে গ্রামবাসীর মানববন্ধন 

গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা চিতলমারী
শৈলদহ গ্রামে বিধবা নারী ফরিদা বেগমের সম্পত্তি ও বাড়িঘর রক্ষার্থে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর)  বিকালে শৈলদাহ গ্রামে মনির কাজীর দোকানের সামনে রাস্তায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলে,   ২০১৩ সালে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহান আলি খান মারা যায়। সেই থেকে জীবিকা নির্বাহ কারণে ফরিদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যায়।  শৈলদাহ গ্রামের বাড়িতে তার ভাই হোসেন আলী খানকে তার নিজ জমিতে বাড়ি ঘর তুলে দেয় জাহান আলী খান।  বাড়িঘর দেখাশোনার সুবাদে এখন জায়গা জমি আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে  হোসেন আলী খান ও তার পরিবার। আমরা এলাকাবাসী এর   তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন,  গত ১ তারিখে একটি কাল্পনিক মিথ্যা চুরির ঘটনা রচিত করে  মৃত জাহান আলী খানের স্ত্রী ফরিদা বেগমকে অপবাদ দিয়ে তার জায়গা জমি আত্মসাৎ  করার পাঁয়তারা করছে।  আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।
বিধবা নারী ফরিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ২০১৩ সালে মারা যান। আমার স্বামী জাহান আলী খান চট্টগ্রামে কাজ করতেন। সেই সুবাধে আমরা চট্টগ্রামে থাকতাম। গ্রামের বাড়ি শৈলদাহ’তে আমার দেবর হোসেন খানকে থাকতে দেয় আমার স্বামী।  আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে আমার দেবর হোসেন খান,  তার স্ত্রী মাবিয়া বেগম,   মেয়ে নাহিদা  ও তার জামাই কামাল  মিলে আমার স্বামীর নিজ মালিকানাধীন জমি আত্মসাৎ  করার পায়তারা করছে।  জমি লিখে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েদের মারপিট করছে। মারপিট করে জমি লিখে নিতে না পেরে এখন একটি মিথ্যা কাল্পনিক চুরির ঘটনা রচনা করে আমার নামে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে।  আমি এর সঠিক তদন্ত করে সুস্থ বিচার দাবী করছি।
হোসেন খানের মেয়ে নাহিদা খানম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের কোন মারপিট করি নাই। ওই জমি আমার মায়ের নামে ২০১৫ সালে ৪ শতাংশ ক্রয় করা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *