বাসার থেকে তুলে নিয়ে শিশুকে নির্যাতন

ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায়, উওর গাজীরচট ভুইয়া পাড়ায়, বাসার ছাদ থেকে ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ন্যাশনাল চাইল্ড প্রি- ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল, এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতালেব হোসেনের শিশু পুত্র মোঃ রিফাত আহমেদ(১১) তুলে নিয়ে মারধর করেন ওই এলাকার প্রভাবশালী বাদল ভুঁইয়া( ৪৮) তার সহযোগী সামিউল (৩২) ও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন, বাদল ভুইয়া ঐ এলাকার তোফাজ্জল ভুইয়ার ছেলে। মোতালেব হোসেন জানান গত পহেলা অক্টোবর বৃ্হস্পতিবার আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় আমি জানতে পারি যে আমার শিশু পুত্র রিফাতকে তুলে নিয়ে গেছে বাদল ভুইয়া ও তার সহযোগী সামিউল সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন, আমি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে গিয়ে দেখতে পারি আমার ছেলেকে এলোপাথারী মারপিট করছেন। মারপিটের ফলে ছেলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে আমাকে দেখতে পেয়ে বলে এটা তোর ছেলে তাইনা? এ কথা বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ভুইয়া ও তার সহযোগীরা এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করেন, তাহাদের মারপিটের ফলে শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখম সহ ডান হাতে কুনিতে রক্তা রক্ত যখম হয়।এরপর আমাকে ও আমার শিশু পুত্রকে বাদল ভুইয়ার বাড়িতে একটি কক্ষে প্রায় ১ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখেন, এবং মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।পরে খবর পেয়ে আমার বাড়িওয়ালার ছেলে বাদশা ভুইয়া ও স্থানীয় লোকজন সহ পরে সেখান থেকে আমাকেও আমার ছেলেকে উদ্ধার করেন, এবং প্রাথমিক চিকিৎসা করান।এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সকালে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায় মোতালেব হোসেনে ও তার পরিবার নিয়ে, ভুইয়া পাড়ার, ফজল ভুইয়ার বাড়িতে, একটি প্লট ভাড়া নিয়ে স্কুল পরিচালনা ও বাসা নিয়ে থাকেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০ টায় তার শিশুপুত্র রিফাত খেলনা লেজার লাইট দিয়ে স্কুলের ছাদে খেলছিলেন, পরে বাদল ভুইয়া লাইটের আলোকে কেন্দ্র করে বাড়িতে গেছে বলে তার ম্যানেজার সহ তার সহযোগীরা স্কুলের ছাদ থেকে শিশু রিফাতকে তুলে নিয়ে তার বাড়ির সামনে নিয়ে বেধর মারধর করেন। এবং পার্শ্ববর্তী লোকজন বাধা দিলে তাদের উপরেও ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন কে চড়থাপ্পড় মারেন, পরে মোতালেব হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মেরে বাদলের বাড়ির একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন, পরে স্থানীয় লোকজন শিশু ও তার বাবাকে সহ উদ্ধার করেন।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন লেজার খেলনা লাইট জ্বলাকে কেন্দ্র করে এমনটা হবে তা না, বাদলের এটা স্বভাব সে প্রতিনিয়ত রাস্তা ঘাটে মানুষের উপর নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়, সে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। আরও জানা যায় বাদলের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী, ও কিশোর গ্যাং বাদলের নামে এলাকায় রয়েছে মাদক ব্যবসা সহ নানান অভিযোগ সে এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননা। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *