বাগেরহাটের বাজারে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা


রণিকা বসু(মাধুরী) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ নিষিদ্ধ ‘পিরানহা’কে দেশীয় সুস্বাদু রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার গ্রামে গ্রামে। এটি রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে অসংগতিপূর্ণ। দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। সে কারনে সরকার ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে পিরানহার পোনা উৎপাদন, চাষ,বংশ বৃদ্ধিকরণ, ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সরকারী সকল নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে করোনার চলতি ক্রান্তিকালে অবাদে বিক্রি হচ্ছে পিরানহা ।
‘রূপচাঁন্দা নেবেন না-কি…? রূপচাঁন্দা…! দেখতি সুন্দর, খাতি ভালো, সস্তায় কেনেন রূপচাঁন্দা…!’ মাছের ফেরিওয়ালার এমন হাঁক-ডাকে রাস্তায় ছুটে যান গ্রামের ক্রেতারা। তারা মাছের চেহারা দেখেন। পিরানহার ’হা’ বেড় করে দাত দেখান বিক্রেতা। দেড় থেকে দুইশ টাকায় প্রতিকেজি রূপচাঁদা (?) কিনতে পেরে খুশি হন ক্রেতারা তিনি মাছের পাত্র মাথায় তোলেন। আবারো হাঁক-ডাকের সুর তুলে এগিয়ে চলেন। বিক্রেতার মতো মরা মাছগুলোও যেন হাসে!
শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা যায় শ্যামপাড়া গ্রামে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, চিতলমারী উপজেলা সদরের মাছের আড়ৎ হতে এই মাছ তিনিসহ অন্যান্য ফেরিওয়ালারা সংগ্রহ করেন। তারপর দড়িউমাজুড়ি, খাসেরহাট, শ্যামপাড়া, দুর্গাপুর, খড়মখালি, বাখেরগঞ্জ, নালুয়া, শৈলদাহসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তারা মাছগুলো বিক্রি করেন। বেশিরভাগ মাছ বরিশাল, পিরোজপুর এবং উজিরপুর হতে আসে বলে তিনি দাবী করেন।এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান রিগ্যান জানান, সরকারী নিষেধাজ্ঞা যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে পিরানহা ও বিদেশী মাগুর মাছ চাষাবাদ ও ক্রয়-বিক্রয় না করার জন্য উপজেলার মাছের আড়ৎ ও ডিপোগুলোতে জানানো হয়েছে।