বরিশাল নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভীর

 মানছে না স্বাস্থ্য বিধি বি.কে রায়।। ঈদের ৫ দিন পর নৌপথে ঢাকামুখী ‘স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিন ঢাকামুখি যাত্রীদের ভীর থাকলেও শুক্রবার (০৭ আগস্ট) উপচেপড়া ভীর দেখা গেছে। যাত্রীদের ভীর সামলাতে এবং স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় নিয়মিত ৬টি লঞ্চের পাশাপাশি স্পেশাল সার্ভিসে আরও ৯টি লঞ্চ চলার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারপরও প্রতিটি লঞ্চে ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। যদিও লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি সহ শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এবার করোনাকালীন ঈদুল আজহায় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত খুব বেশী সংখ্যক মানুষ গ্রামে আসেনি। কিন্তু যারা এসেছিলেন তারাও কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেন ঈদের পরদিন থেকে। গত ৫ দিন ধরে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৫ থেকে ৬টি লঞ্চ টইটুম্বুর যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে শুক্রবার (০৭ আগস্ট) বরিশাল নদী বন্দরে করোনাপূর্ব ঈদ মৌসুমের চিত্র দেখা যায়। নদী বন্দর থেকে গতকাল ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ১৫টি বিশালাকার নৌযান। প্রতিটি নৌযান ছিলো যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ন। প্রতটি লঞ্চে মাস্ক বিহীন অনেক যাত্রী দেখা গেছে। লঞ্চগুলোতে জীবানুনাশক সহ সুরক্ষা সামগ্রী ছিলো নামমাত্র। কোন লঞ্চের যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব রক্ষা হয়নি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ শুধু মাইকে ঘোষনা দিয়েই স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। নিয়মিত সার্ভিসে শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৬টি লঞ্চ। এগুলো হলো দিবা সার্ভিসের এমভি গ্রীনলাইন-৩, নৈশ সার্ভিসের এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯, এমভি কুয়াকাটা-২, এমভি পারাবত-১১, এমভি সুন্দরবন-১১ এবং এমভি সুরভী-৯। এছাড়া স্পেশাল সার্ভিসে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৯টি বিশালাকৃতির লঞ্চ। এগুলো হলো এমভি পারাবত-৯, এমভি মানামী, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১, সুরভী-৮, এমভি সপ্তবর্ণা-১০, এমভি কীর্তনখোলা-১০, এমভি রেডসান-৫, এমভি রাজহংস-১০ এবং এমভি ডায়মন্ড-৩। সবগুলো লঞ্চে উপচে পড়া ভীর দেখা গেছে। কোন লঞ্চে পা ফেলার মতো কোন ফাঁকা জায়গা ছিলো না। স্বাস্থ্য বিধি ছিলো শুধুই কাগজে-কলমে। বিধি রক্ষায় লঞ্চ কোম্পানীগুলোর তৎপরতাও ছিলো লোক দেখানো। যদিও স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় বরিশাল নদী বন্দরে কাজ করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, ঢাকামুখি লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেশী থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই সবগুলো লঞ্চ নদী বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকামুখি ভায়া লঞ্চগুলোকে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করতে দেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় যাত্রী এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয় বলে তিনি জানান। বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ঈদের পর গতকাল বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখি জন স্রোত ছিলো সব চেয়ে বেশী। এ কারনে শৃঙ্খলা এবং স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় নিয়মিত ৬টি লঞ্চের পাশাপাশি স্পেশাল সার্ভিসে চলার জন্য ৯টি লঞ্চকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রতিটি লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের আগে বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এ কারনে অতিরিক্ত ভীর হতে পারেনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *