বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১৯ নং ওয়ার্ডস্থ নগরীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান আদি শ্মশানঘাটের পিছনে অবস্থিত ঘনবসতি একটি কলোনিতে গত (১২ মার্চ) শনিবার ভোর সারে পাঁচটার দিকে আকস্মিকভাবে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূএপাত ঘটে। ভয়াবহ ঐ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত বসতঘরের মধ্যে অন্তত আটটি বসতঘর পুড়ে একদম ছাই ও ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বরিশালের বিশিষ্টজনসহ নানা শ্রেনির মানুষ। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব পরিবারগুলোর সদস্যদের শান্তনা ও সামান্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাড়াতে ছুটে চলে যান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বরিশাল মহানগর শাখার ত্যাগীকর্মী যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক (খাঁন মামুন)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল নগরীর বিসিসি’র ১৯নং ওয়ার্ডস্থ নতুন বাজার এলাকার আদি শশ্মানের পিছনের এলাকায় শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আকস্মিকভাবে আগুনের সুএপাত ঘটে। আগুনের তীব্রতা যখন ক্রমসই বাড়তে থাকার জন্য সাথে সাথে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের জরুরী নাম্বারে ফোন দেওয়ায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট দ্রুত এসে স্বল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং ঐ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দূর্ভাগ্যবসত অন্তত আটটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে কয়লা আর ছাইয়ে পরিনত হয়ে গেছে এবং সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে পুড়ে যাওয়া বসতঘরে পরিবারগুলো।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া তথ্যে শোনা গেছে বরিশাল সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম (এম.পি) আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় (১৩ মার্চ) রোজ রবিবার সকালে নগরীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত আদি শ্মশানের নিকটে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব পরিবারগুলোর সদস্যদের সান্ত্বনা ও খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান যুবলীগ নেতা সমাজসেবক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক (খাঁন মামুন)। তিনি ঐসময় নিঃস্ব পরিবারের সদস্যদের প্রতি সান্ত্বনা প্রদান করে ব্যক্তিগত কিছু আর্থিক সহায়তা করেন এবং পরবর্তীতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম (এম.পির) নির্দেশ অনুযায়ী মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বার্তাবাহক হয়ে আগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব পরিবার গুলোর সদস্যদের সামান্য ক্ষতিপূরন হিসেবে বসতঘর পূর্ণনির্মান করে দিতে ঢেউটিনসহ নগদ অর্থ প্রদান করা হবে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বরিশাল সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক জনাব বেলাল উদ্দিন জানান ,খুব সকালে যখন আগুনে সুএপাত ঘটে,তখন কমবেশি সবাই গভীর ঘুমে অচেতন ছিলেন। অদ্য আগ্নিকান্ডে সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে, তা পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুড়ে যাওয়া বসতঘরের যেকোন একটি রান্নাঘর থেকে উক্ত আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ১৯ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার আদি শশ্মানের পিছনের এলাকার বাসিন্দা নিরোদ বাড়ৈয়ের বসতঘরে অবস্থিত রান্নাঘর থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় ও মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ঘরগুলোয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিরোদ বাড়ৈ, সেলিম মিয়া, তপন চন্দ্র, সুনীল চন্দ্র, তরুণ ঘোষ, পেয়ারা বেগম, কালু মিয়া ও জামাল হোসেন নামের ব্যাক্তিদের বসতঘরগুলো সম্পূর্ণ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা জানান, খুব ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় অনেকেই গভীর ঘুমে অচেতন ছিলেন তাই কোনো পরিবারের লোকজনই পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে কোনো আসবাবপএ কিংবা জরুরী মালামাল বের করার সময় সুযোগ পায়নি আর ভয়াবহ এই আগুনে আটটি ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দ্রুত গতিতে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত দেওয়ায় পার্শ্ববর্তী আরও অন্তত এিশ থেকে চল্লিশটি ঘর রক্ষা পায়। এছাড়া আগুনের ভীষণ তাপে আশপাশের আরও কয়েকটি ঘরের আংশিক কিছু ক্ষতিস্বাধন হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ছুটে যাওয়া বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক (খাঁন মামুন) দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জড়িয়ে ধরেন সর্বস্ব হারানো পরিবারের সদস্যরা এবং অভিযোগ করে বলেন আমাদের সিটির মধ্যে এমন অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোন দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটলেও কেউ তাদের খোঁজ খবর নিতে আসে না,বিশিষ্ট নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের শুধু নির্বাচনকেন্দ্র করে ভোট চাওয়ার সময় কিন্তু তাদের এই দুঃসময়ে কেউ ই যখন আসেনি তখন আল্লাহর তরফ থেকেই পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আমাগো এম.পি সাহেব খাঁন মামুন ভাইকে পাঠাইছে, এবং সে আমাদের বিপদ আপদে সব সময়ই যথাসম্ভব পাশে ছিলো আছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক শেখ ফেরদৌস ইসলাম দুলাল, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগ-এর সাবেক সাধারণ-সম্পাদক মোঃ মাহিদুর রহমান মাহাদ, বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা মিন্টু চন্দ্র রায় , ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতি সাকিব ভূইয়া, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও কর্মীরা।