বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকায় কামাল খান নামক এক ব্যক্তির জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে এবং সিটি কর্পোরেশন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা ওয়াশিম কল্লোল নামে একজন সদর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বরিশাল নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডস্থ পোর্ট রোড ভূমি অফিসের পাশে মো: কামাল খানের পৈতৃকভিটা ভোগদখল করে আসছে।
পরে পাশেই আবার সরকারী জমি ক্রয় করেন ওয়াশিম কল্লোল এর পিতা। পরর্বর্তীতে ১৯৯১ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ৪তলা ভবন নির্মানের অনুমতি নিয়ে ১তলা ভাবন নির্মান করেন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে ৩১বছর পরে সেই পুরনো ভবনের রডের সাখে নতুন ভাবে কলম করে ওয়াশিম কল্লোল বহুতলা ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে আসছে।
এদিকে সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াশিম কল্লোল ঝুকিপূর্ণ ভাবে ভবন নির্মান করায় ও কামাল খানের জমি দখল দেয়ায় গত ৪ই সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। কামাল খান অভিযোগ করেন বলেন, পুরনো ভবনে পুরনো রডের সাথে নতুন নতুন কবে ৫তলা ভবন নির্মানের কাজ করছেন তারা। পরে বাঁধা দিলে তাকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। তাই দিশেহারা হয়ে কামাল খান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করলে সেখান থেকে ভবন নির্মানে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং অনুমতি বিহীন ভবন নির্মান না করার জন্য নোটিশ দেয় সাব-রেজিষ্ট্রার ওয়াশিম কল্লোলকে।
কামাল খান অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ক্ষমতা আর দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর পূনরায় সিটি কর্পোরেশনের নোটিশের তোয়াক্কা না করে পূর্বের প্লানের উপরই রাতে আঁধারেই চারতলা ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছেন এই সাব-রেজিষ্ট্রার। এসময় কামাল খান বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন ওয়াশিম কল্লোল। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,ওয়াশিম কল্লোল ১৯৯১ সালে ভবনটির একতলা তৈরি করেন।পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় কাজ বন্ধ রাখেন তিনি।কিন্তু দীর্ঘ ৩১ বছর পর পুরনো প্লান অনুযায়ী ভবনটি নির্মান করাটা সম্পূর্ণ ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
নির্মানাধীন ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, ভবনটি নির্মানে যে রড ব্যবহৃত হয়েছে তা বসবাস করারমত উপযোগী নয়।এছাড়া নিচ তলার ছাদ,ইটের গাঁথুনি গুলো তেমন মজবুত নয়।এছাড়া যাতায়াতে নিদিষ্ট পথ থাকা সত্ত্বেও সেপথটি আটকে কামাল খানের পৈত্রিক জমির উপরে ভবনে যাতায়াত রাস্তা তৈরি করেন ওয়াশিম কল্লোল। এবিষয়ে কামাল খান বলেন,ওয়াশিম কল্লোল আমার পৈতৃক জমি দখল ভবন নির্মান করছেন। এবিষয় আমি প্রথম যখন ১৯৯২ সালে ভবনটি নির্মান কাজ শুরু করে তখন বাঁধা দেয়ায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।
আমি সিটি কর্পোরেশন অভিযোগ দেয়ায় তারা তারা ভবন নির্মান বন্ধ করে দেয়।কিন্তু এই মাসে সে আবার ভবনের কাজ শুরু করে এবং আমি পূর্বেরন্যায় তাকে জিজ্ঞেস করলে সে এবার গালিগালাজ এর সাথে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। তিনি আরো বলেন, সাব-রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে সে ভিন্ন সময় হুমকি ও দিয়েছে।এবিষয় আমি কোতোয়ালি মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এবিষয় অভিযুক্ত ওয়াশিম কল্লোল বলেন, আমার ভবন আমি উঠাবো এতে সাংবাদিকদের কাজ কি?। আপনারা নিউজ করেন সমস্যা নাই। এবিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনীর সাথে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। এবিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি ভালো ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।