বরিশালে সংবাদ সংগ্রহের সময় সংবাদ কর্মীর উপর নৃশংস হামলা
গতকাল ০৪-০৫-২০২১ সাল শুক্রবার আনুমানিক রাত ০৯.৩০ ঘটিকার সময় বরিশাল মহানগরীর ভাটিখানা পূজা মন্দিরের পাশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি সংঘটিত হয়।
ঘটনার মূল ভিকটিম বরিশাল বাজার রোডের রাজলক্ষ্মী ভান্ডারের মালিক লক্ষন পোদ্দারের একমাত্র ছেলে গোপাল পোদ্দারকে ভাটিখানা এলাকার কথিত সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাং এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক অনিক বসু(হেডাম অনিক),সন্জয় শীল (নাপিত সঞ্জয়) এবং দীপ্ত ঘোষ এরা তিন জন মিলে লাঠি সোঠা নিয়ে কতিপয় গোপাল পোদ্দারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।ঘটনানাটি চলাকালীন সময় বিশ্বজিৎ কুমার রায় দৈনিক শতবর্ষ বরিশাল প্রতিনিধি সংবাদ সংগ্রহের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্ষী হিসেবে দেখেন এবং তৎক্ষনাৎ যখন ভীকটীম গোপাল পোদ্দারকে অনিক বসু লাঠি দিয়ে বাড়ি দিতে গেলে অনিককে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ কুমার রায় অনুরোধ এবং অনুনয় করে এই যে “গোপালের গায়ে হাত দিস না ভাই” কথাটি বলা মাএই অনিক বসু লাঠি দিয়ে বিশ্বজিৎ কুমার রায়কে এলো পাথারি ভাবে লাঠি দিয়ে সজোরে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে এবং একই সাথে সঞ্জয় শীল এবং দীপ্ত দ্বীপ্ত ঘোষ একএ হয়ে বিনা কারনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি অবস্থায় বিশ্বজিৎ কুমার রায়কে লাঠি অনবরত শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করতে থাকে যেটা স্থানীয় বাসিন্দা এবং দোকানদাররা দেখেন।
পরবর্তীতে একই সাথে গোপাল পোদ্দারের ঘনিষ্ঠ আরেক জন সঞ্জু নন্দী নামের একটা ছেলেকেও বেধরক ভাবে পিটিয়ে আঘাত করে।
ঘটনাটি ঘটার পর গুরুতর আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ কুমার রায়, গোপাল পোদ্দার,সঞ্জু নন্দীকে নিজস্ব পরিবারে অভিভাবকগন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে ভর্তি ও ট্রীট মেন্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় গোপাল পোদ্দারের পিতা লক্ষন পোদ্দার নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কতিপয় আমাসীগনের বিরুদ্ধে বরিশাল কাউনিয়া থানা পুলিশের কোন রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং আসামীরা বুক ফুলিয়ে বাসায় ও রাস্তায় চলাচল করছে।
এসময় আহত সংবাদ কর্মী বিশ্বজিৎ রায় উক্ত ঘটনাটির সঠিক তদন্ত অনুযায়ী বিচার কার্য পরিচালনার জন্য সারা বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকদের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করেন ।