বরিশালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৮৫ ডেঙ্গু রোগী


বরিশাল বিভাগের আওতাভুক্ত ছয়টি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট ১৮৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে শুধু বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৫৭ জন। বাকিরা জেলার অন্যান্য হাসপাতাল,পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভোলা-পিরোজপুর-বরগুনা ও ঝালকাঠির হাসপাতালে ভর্তি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলার আওতাধীন হাসপাতাল গুলো ছাড়াও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় ৩৩ জন, ভোলায় ১৫ জন, পিরোজপুরে ৩১, বরগুনায় ১৩ ও ঝালকাঠিতে ৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী সব মিলিয়ে (১৯ জুলাই) বুধবার পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৫০৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। গত ১ জানুয়ারি থেকে এপর্যন্ত এসব হাসপাতালে সর্বমোট ১৯১২ জন রোগী ভর্তি হন এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৫২৫ জন। এসময়ের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস জানান,বর্তমানে ডেঙ্গু নিরোধে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতাই প্রধান কাজ।
মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না। আর বিভাগের সকল সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া আছে যেন ডেঙ্গু রোগীদের অতি গুরুত্বের সাথে সেবা প্রদান করা হয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। জনবলসহ নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো জানান,আমাদের শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বর্তমানে ২০০ টি বেড রয়েছে এবং আরো ১০০ টি বেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এগুলোও ব্যবহার করা হবে।