কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর তরুণ বয়সে কলকাতা থেকে একজন একটি শাল চাদর দিয়েছিল। সেই শাল পড়ে বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় সকালে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। তখন বঙ্গবন্ধু দেখতে পান একটি গরিব লোক শীতে কাঁপছেন। বঙ্গবন্ধু তার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গায়ের চাদরটি তার গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাড়ি ফিরে আসলে তার মা জিজ্ঞাসা করছে বাবা তোমার চাদরটা কই! তখন বঙ্গবন্ধু বলে মা দেখলাম একজন গরীব মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাকে চাদরটি আমি দিয়ে দিয়েছি। মা কাজটা ভাল করি নাই? তখন বঙ্গবন্ধুর পিতা বলেছিলেন বাবা তুমি খুব ভালো কাজ করেছো। এই ছিল বঙ্গবন্ধু, এই ছিল দুঃখী মানুষের প্রতি তার মায়া-মমতা ও দরদ। তিনি ছিলেন সত্তিকারের মানবতার দরদী।
সোমবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষক লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পাক বাহিনী ও তার দোসররা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন। কৃষির যে উন্নয়ন বঙ্গবন্ধু স‚চনা করেছিলেন তা অনেকটা স্তব্ধ হয়ে যায়। কৃষিক্ষেত্রে আবার বঞ্চনা শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করে কৃষির উন্নয়নে আবার অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ে কৃষি উন্নয়নের জন্য বহু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আগামী দিনে যত উন্নয়ন কর্মকাÐ হবে তার বেশি অংশ জুড়ে থাকবে কৃষি। বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের ৮’শ কোটি টাকার ১’শ কোটি টাকা ছিল কৃষির উন্নয়নে বরাদ্দ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ভবিষ্যতেও কৃষির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি সরকারের সময় সারের শুধু অভাবই হয়নি। সার চাইতে গিয়ে এদেশের কৃষকেরা জীবন দিয়েছেন। ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই ৯৬ সালে এই বুলেটের জবাব এদেশের কৃষক ও মেহনতী মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে। তারা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র পাঁচ বছরে কৃষিক্ষেত্রে অভ‚তপ‚র্ব উন্নয়ন এনেছেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি শামীমা আক্তার, সাবেক এমপি ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ন‚রে আলম সিদ্দিকী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন আলমগীর, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মিলন মোল্যা প্রম‚খ বক্তব্য রাখেন