‘ফ্রিল্যান্স ওয়ার্ক উইথ জুবায়ের হোসাইন’ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), লিড জেনারেশন, ই-কমার্স বিজনেস গ্রোথ , কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসহ আউটসোর্সিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যম সম্পর্কে তরুণ-তরুণীদের কাজ শেখানো হয়।
জুবায়ের হোসাইন প্রথম থেকেই নতুন কিছু করতে আগ্রহী ছিলেন। তার কঠিন পরিশ্রম ও লক্ষ্য আজ সফলতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অল্প বয়স থেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন বিষয়ের কাজ শুরু করেন তিনি।
আমরা হয়তো জানি মার্কেটিং ছাড়া কোনো ব্যবসা সঠিক ভাবে চলতে পারে না। ব্যবসায় সফলতা অর্জনের মূল মন্ত্র হলো মার্কেটিং। কিভাবে একটি ব্যবসাকে দাঁড় করানো যায় সেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন জুবায়ের । ঘরে বসে ইউএসএ, ইউকে, নাইজেরিয়া, কানাডা সহ বিদেশের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য, সার্ভিস, ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের প্রচার ও প্রসার করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া দিয়ে থাকেন সফল উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসাইন।
একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে জুবায়ের হোসাইন বিশ্বাস করেন সফলতার কোন শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে উঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সততা নেই সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান এবং প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত। পরিশ্রম মানুষকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যায়। সততা ও ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।
‘ফ্রিল্যান্সিং’ করে সফল জুবায়ের হোসাইন বলেন, ‘শুরুতে পরিবার সহ প্রতিবেশী, বন্ধুরা কেউ সমর্থন দেয়নি। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা অনেকে কটাক্ষ করেছেন। তবে আজ তাদের ধারণা বদলে গেছে। আসলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের ইচ্ছা থাকলে কাউকে বেকার থাকতে হয় না। সঠিক জায়গায় সঠিক নিয়মে প্রশিক্ষণ নেওয়াটা জরুরি।’ দিনশেষে আমি জানতাম আমার এই কাজের মানটা আসলে ভবিষ্যতে কেমন হবে। তাই সবার থেকে নিজেকে একা করে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের স্কিল গুলোকে ডেভলপ করেছি। কাজ করেছি দেশি-বিদেশি সকল মানুষের সাথে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অনেক পরিশ্রমী হতে হবে। শুধুমাত্র পরিশ্রমী হলে হবে না আল্লাহর উপর যথেষ্ট ভরসা রেখে কাজ করতে হবে।
সকলের উদ্দেশ্যে জুবায়ের হোসাইন বলেন, নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরী করার যে রাস্তায় নেমেছেন, সেই রাস্তা কে সফলতার গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে পূর্ণতা দিন। মনে রাখবেন এই পথের বাঁকে বাঁকে প্রতিকূলতা থাকবে, আর সাথে থাকবে নিরাশ, হতাশা জোগানোর অগুনতি মানুষ। তাই সফলতা যদি চান তাহলে আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন, স্বপ্ন দেখলে চলবে না, স্বপ্ন পূরণের জন্য অনর্গল পরিশ্রম করতে হবে।