ফজরের নামাজ আদায় শেষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের গান গেয়ে শোনালেন নোবেল

ভারতের সারেগামাপা খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল।আলোচনা সমালোচনা যার নিত্যদিনের সঙ্গী।তবে এবার সব কিছু কে ছাপিয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে ফজরের নামাজ আদায় করলেন এই গায়ক।

এসময় মাদ্রাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সাথে আড্ডা ও নিজ কন্ঠে গাওয়া মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনান নোবেল। গান শুনে নোবেলের সাথে কন্ঠ মেলান মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ২৪ শে আগস্ট সকালে এমন কয়েকটি ছবি ও ভিডিও নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেছেন নোবেল।পোস্টে দেখা যায় গোপালগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন নোবেল।

এসময় শিক্ষার্থীদের আবদারে তিনি তার গাওয়া মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনাচ্ছেন।তার গানের সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছে মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী। এমন কয়েকটি ছবি ও ভিডিও নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করার পর থেকে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন নোবেল। বৃহস্পতিবার সকালে এবিষয়ে ঢাকা পোস্ট এর সাথে কথা হয় মাইনুল আহসান নোবেলের। এসময় ঢাকা পোস্ট কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, আমাদের ইসলামে আছে নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ানো প্রতিটি কদমে ৭০ নেকি। আমার বাসা থেকে কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে।

বাসা থেকে প্রায় দুই হাজার কদম ফেলে মাদ্রাসায় যেতে হয়। গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। পরে বাসা থেকে ভিজতে ভিজতে ফজরের নামাজ আদায় করতে বের হই কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে। বৃষ্টি হচ্ছে বলে আমি সঙ্গে পাঞ্জাবি আর পাজামা নিয়ে যাই। আমার পরনে ছিল লুঙ্গি এবং গেঞ্জি।

ওইখানে পৌঁছে পোশাক বদলে নামাজ আদায়ের পর মসজিদের মুয়াজ্জিন আমাকে দেখে ডাক দিয়ে বসায়। মুয়াজ্জিন আমার বন্ধু হয়।ওই খানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমি এসেছি জেনে পড়া বাদ দিয়ে ছুটে আসে আমার কাছে। পরে সবাই আমাকে একটি ইসলামিক গান গেয়ে শোনাতে বলেন। আমি বললাম আমিতো ইসলামিক গান একটি গেয়েছি। সেটা কি আপনাদের পছন্দ হবে।

পরে তারা একসাথে বলে উঠলো আপনি সেই গানটি গেয়ে শোনান।এসময় আমি আমার গাওয়া মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনাই। গানটি গাওয়ার সময় আমার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে গান গেয়েছে সকল শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল সাতটার দিকে বাসায় চলে আসছি। চলতি মাসের শুরু থেকে নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন আপনি। গোপালগঞ্জে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছে আছে কি না এমন প্রশ্নে নোবেল বলেন, গোপালগঞ্জ সেটেল্ড হওয়ার ইচ্ছে আছে। আমার যে নিজ প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মিউজিক ইন্ড্রাস্টিজ সেটার হেড কোয়ার্টার গোপালগঞ্জে করার ইচ্ছে আছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *