ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নে রাতের আধারে সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে দুটি ভ্যান ধৃত হয়। পরে চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই ইউনিয়নের সরকারি বিসিআইসি সার ডিলার মল্লিক রফিকুল ইসলাম (৫৬)কে আটক করে। এবং সারগুলো জব্দ করে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত সার ডিলার মল্লিক রফিকুল ইসলাম উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ফকিরহাট মডেল থানায় রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবদাস বালা। যার মামলা নং-১২, ২৩/০২/২০২৫।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে দুটি ভ্যান বোঝাই সার খুলনার রূপসা উপজেলার দিকে যাচ্ছিলো। এসময় স্থানীয় জনৈক ব্যক্তিরা সরকারি বস্তা দেখে সন্দেহ হলে ভ্যান দুটি ধরে রাখেন। স্থানীয় লোকজন নিয়ে তিনি ভ্যান চালকদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, ভ্যান দুটিতে ১০ বস্তা ইউরিয়া ও ১০ বস্তা ডিএমপি সরকারি সার রয়েছে। এগুলো বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার মল্লিক রফিকুল ইসলাম বিক্রির উদ্দেশ্যে রূপসা উপজেলার আলাইপুর বাজারে পাঠিয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবদাস বালা ও ফকিরহাট থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে ডিলার রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞেসাবাদ করেন। ঘটনার সত্যতা ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী পেয়ে পুলিশ সারসহ মল্লিক রফিকুল ইসলামকে আটক করেন। উল্লেখ্য, সরকারি ভর্তুকির সার এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বিক্রি নিষিদ্ধ। এটি শুধুমাত্র সরকারি মূল্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষকদের কাছে বিক্রির বিধান রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন- বাহিরদিয়া মানসার সার ডিলার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ডিলার রফিক মল্লিককে আটক করেছে।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ‘সার ডিলার মল্লিক রফিকুল ইসলামের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫(উ) ধারায় মামলা হয়েছে। তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।