প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২১, ২০২৫, ১:২০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২১, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
ফকিরহাটে বিপন্ন ‘তক্ষক’ উদ্ধার বাড়ির কেয়ারটেকার মুজিবুর চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে
গত বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি জীবিত তক্ষক উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারিত হয়ে আসছে যে তক্ষক দিয়ে তৈরি হয় মূল্যবান ঔষধ। আর তার দাম কোটি টাকা। এটি বিশ্বাস করে এক শ্রেণির মানুষ লালসায় পড়ে রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এমন খবর উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামে মুখে মুখে।
স্থানীয়রা জানায় - গত বুধবারের পর থেকে আর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তক্ষকের ডাক শোনা যায়নি বিষয়টি বাড়ির মালিকের ভাগ্নে নাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার মামার পুরাতন বাড়ি এবং নতুন বাড়ির আশ পাশ দিয়ে ৩টি তক্ষক প্রায় ৪০ বছর ধরে রয়েছে ওদের ডাক কম বেশী সবারই পরিচিত। সব চেয়ে বড় যে তক্ষকটা সে বাড়ির মধ্যে জানালার পাশেই থাকতো বাড়ির কেয়ারটেকার মুজিবুর রহমানকে বিষয়টি নিয়ে চাপ দিলে তিনি ৩০ জুন বুধবার সকালে একটি তক্ষক হাজির করেন। এ বিষয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় অবগত করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা বিষয়টি জেনে যাওয়ায় ঘটনার সাথে জড়িত কেয়ারটেকার মুজিবুর রহমান উপস্থিতি টের পেয়ে তক্ষক ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় তক্ষকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান - তক্ষকের ঘটনাটি সত্য সুনু সরদারের বাড়ির কেয়ারটেকার মুজিবুর রহমান বাহিরের লোক এনে তক্ষক ধরার বিষয়টি সকলের সামনে বলেছে এবং তার স্ত্রী নিজ হাতে একটি ব্যাগে করে তক্ষকটি আমাদের সামনে দিয়ে যায়।
নলধা এলাকার এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি চক্র এ তক্ষক পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত