বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে রাসায়নিক বালাইনাশক এর পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার উদ্বুদ্ধকরণের জন্য উপজেলা কৃষি ট্রেনিং সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক গ্যালারি। এছাড়াও কৃষকদের মাঝে জৈব উৎস থেকে বিশেষ করে উদ্ভিদ থেকে জৈব বালাইনাশক প্রস্তুতকরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এতে রাসায়নিক কীটনাশকের খরচ ও ব্যবহার যেমন কমছে। তেমনি কৃষক বেশী লাভবান হচ্ছে। সাথে সাথেই পরিবেশের ক্ষতিও লাঘব হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জৈব বালাইনাশক এর প্রভাবে ক্ষতিকর পোকা বৃদ্ধি ব্যহত হয় কিন্তু উপকারী পোকার মাকড়ের উপর কোন প্রকার বিরূপ প্রভাব প্রতিক্রিয়া নেই।
“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার নিরাপদ সবজি উপহার” শ্লোগানকে সামনে তুলে ধরে জৈব বালাইনাশক গ্যালারি ফকিরহাটে নিরাপদ উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় জৈব বালাইনাশক গ্যালারি স্থাপন হলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। কাজের অংশ হিসেবে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ গ্যালারী স্থাপন করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন অধিকাংশ কৃষক। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে তারা এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন ‘লাউ, ফুলকপি, কুমড়া, করলা, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি মৌসুমি ফসলে তারা জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। এতে খরচ যেমন কম তেমনি উৎপাদন হয় ভালো।