বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীর ওপর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতুটি নির্মানের মধ্যেদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১ টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীর উপর ৯’শ ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেতুর কাজ জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। যথাসময়ই শেষ হয়েছে। কালনা সেতু যত ছোট হোক না কেন এর উল্লেখযোগ্য দিক রয়েছে। এটা হলো পদ্মা সেতুর মিসিং লিংক। কাজেই পদ্মা সেতুর সব সুফল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে এ সেতু নির্মাণের কোন বিকল্প ছিলনা। একইসাথে নড়াইলবাসীর জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নড়াইল থেকে যশোর, বেনাপোল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের যোগাযোগ সহজ হবে। ফলে গোটা অঞ্চল উপকৃত হবে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এখনও বড় অঞ্চলটি আমরা কানেক্ট করতে পারিনি। এ সেতুটির উদ্বোধনের বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি সামারি পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি সেতুটির নামকরন করেছেন ‘মধুমতি সেতু’। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তিনি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষনা করবেন। তবে আক্টোবর মাসেই তিনি সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আমাদের লক্ষ্যই-প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। এ সরকারের আমলে এতোবেশি সড়ক সংযোগ হয়েছে, যার নজির অন্য কোথাও নেই। সমতল থেকে পাহাড় পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টায় মিয়ানমারের কার্যাকালাপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্লের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সতর্ক ও সংযমী হয়ে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ বিভিন্ন সংস্থার সবাই প্রস্তুত আছে। আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করব না। আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত হবো না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাই লেটারাল কো-অপারেশন।টেবিলে বসে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যার সমাধান করব। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে তার বক্তব্যে বিষয়টি উত্থাপন করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সারাবিশ্বে মূদ্রাস্ফীতি, জ্বালানী সংকট ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। আমাদের জ্বালানী তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। তাই এখন যুদ্ধ করার সময় নয়। আমরা শান্তির পক্ষে। মিয়ানমারও শান্তির পক্ষে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, নড়াইল, লোহাগাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন এবং যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।