প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫, ৩:১৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০২০, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
প্রতাড়নার ফাঁদে পড়ে পাগল প্রায় কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির

কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি গ্রামের নাজিম মোল্যা ও তার মেয়ে সীমার কাছ থেকে প্রতারনার স্বীকার হয়েছে মোল্লার হাটের কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির। দীর্ঘ আঠারো মাস ধরে সীমা এবং লতিফের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক। এবং দুজনে দুই পরিবারকে ওদের বিয়ের জন্য রাজি করায়।এবং লতিফের পরিবারের লোকজন নাজিম মোল্যার আহ্ববানে ওনার বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করে। ভিডিওকলের মাধ্যমে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন করেন কাজী হেদায়েত মোল্যা।
ভালই কাটছে দুজনের,তো স্বামী লতিফ স্ত্রী কে নিয়ম অনুযায়ী ভরন পোষন দেওয়া শুরু করেন। যেমন টাকা,স্বর্ন অলংকার জামা- কাপড়, মোবাইল ইত্যাদি দিতে নাজিম অস্বীকার করেনি কখনও,আর বিদেশি বলে কথা। এ সময় নাজিম এ পরিবারের একজন অভিভাবক হয়ে পড়লো,আর এ সুযোগে শ্বশুর নাজিম মোল্যা ও শাশুরী এবং স্ত্রী সীমা সহ জামাই লতিফ ফকিরের কাছে কিছু টাকা চাইলো ব্যবসার জন্য। লতিফ না করলো না।কারন লতিফ কাতারে গাড়ির ড্রাইভার, তার পরিশ্রমের কিছু টাকা ছিল।এবং শ্বশুর কে দিয়ে দিল।
এভাবে নগদ চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলো,স্ত্রী কে দিল তিন ভরী স্বর্ন সহ টাকা পয়সা। স্বামী লতিফ ফকির যখন দেশে আসবে বলে সকলকে বলছে তখনই স্ত্রী, শ্বশুর শাশুড়ীদের কাছে একটি খারাপ ছেলে হয়ে গেলো। এ অভিযোগ পাওয়ার পর নাজিম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখানে একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির কথা, ওনি যা বলবেন তিনি তাই করবেন। জনপ্রতিনিধি বললেন - ছেলেটি বেয়াদব, তাহলে কি এরকম প্রবাসীদের সরলতার সুযোগে প্রতারনা করবে আর সমাজে যাদের দায়িত্ব আইনি সহয়তা করা তা না করে সহযোগিতা করছে নিজের লোকের? এটাই ভুক্তভোগীর মনের ক্ষোভ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত