গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মেগা প্রকল্প রেলওয়ে ও অন্যান্য প্রকল্প সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ী অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের জন্য রড চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
রড উদ্ধারসহ আটককৃত নুর আলম খান কে রড চুরির মামলায় প্রেরণ করা হয়েছে ঠিকই, তবে সদ্য উদ্ধারকৃত বা দোকানে রক্ষিত রডের নতুন কোন মামলায় নয়।
২৭/১০/২৩ সনের রড চুড়ি অন্য এক মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তাহলে ৩ থেকে ৪ টন অথবা এক বা দেড় মন রড থানায় রয়ে গেল। যার মালিক রেলওয়ে প্রকল্প।
সরকারি মেগা প্রকল্পের উদ্ধারকৃত কি পরিমান রড বা তার আনুমানিক মূল্য কত এবং আর কোন আসামি আটক হয়েছে কি না মুঠোফোনে ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান- এর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি আসামি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
কোন্ মামলায় পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে, অন্য মামলায় অজ্ঞাত আসামির কথা স্বীকার করে বলেন- মামলা হওয়া না হওয়া,অজ্ঞাত আসামি করা এর সবকিছুই উর্ধতনদের পরামর্শে করেছি।
ঘটনার দিন এ বিষয়ে মামলা হবে এবং আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করবে,যেহেতু চায়না প্রকল্পের রড, এমনটিই সাংবাদিকদের বলেছিলেন ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান।
শেষ পর্যন্ত দায় চাপালেন ভিন্ন রুপে। তবে কি জনসাধারণের সামনে কোন জবাবদিহি নেই? এত মূল্যবান রড কোথায়? জিজ্ঞাসা স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য গত (৯ মার্চ) শনিবার রাতে ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের শিবগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলওয়ে প্রকল্পের রড সহ নুর আলম খান নামে এক জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।
ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানিয়দের ভাষ্যমতে নুর আলম খান ভাংগারী দোকানী গোপেন রায়(৪৭) ও রড সরবরাহকারী ট্রাকের হেলপার (অজ্ঞাত) এই তিনজনএকসঙ্গে ট্রাক থেকে রড নামিয়ে ভাংগারী দোকানে রেখেছিল।