মোছাঃ অঞ্জনা বেগম (৩২), পিতা-মোঃ জুব্বার লস্কর, গ্রাম-জামালপুর, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে গত ১২/১৩ বছর আগে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-মহাম্মদজুম্মা, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ১। সামিয়া (৮) নামের ফুটফুটে একটি মেয়ে জন্ম গ্রহন করে। গত ০১ বছর পূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে গত ০১ মাস আগে সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে পিতার বাড়ীতে তাড়িয়ে দেয় এবং অন্যত্র বিবাহ করে।
এমতাবস্থায় মোছাঃ অঞ্জনা বেগম তার ০৮ বছরের সন্তান ও নিজের অসাহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজে উদ্বোধনকৃত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ সাইফুল ইসলাম তার ১ম স্ত্রী মোছাঃ অঞ্জনা বেগম’কে স্বামীর মর্যাদা প্রদানসহ সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে সামিয়া ফিরে পেল তার বাবার আদর স্নেহ। অন্য দিকে অঞ্জনা বেগম ফিরে পেল তার সুখের সংসার।