‘পুলিশের ধাওয়া খেয়ে’ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবক নিখোঁজ

এম এম ছাদ্দাম হোসেন, ঢাকা প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ‘পুলিশের ধাওয়া খেয়ে’ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশ বলছে, মামুন নামের ওই যুবক পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ দেখে তিনি পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন।

গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনার পর রাতে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। মো. মামুন উপজেলার বরামা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

পরিবারের বক্তব্য, মামুন রোজা রেখেছিলেন। গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ‘ইফতার কিনতে’ বাড়ির অদূরে দোকানে যান। পথে শ্রীপুর থানার এএসআই শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে তার দেখা হয়। পুলিশ সিএনজি থামিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করে। তখন মামুন দৌঁড় দিলে পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে মামুন বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামে রায়েদ গুদারা ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেন।

মামুনের বড় ভাই মাসুমের অভিযোগ, এএসআই শাকিলসহ আরও ২-৩ জন সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের সোর্স রৌশনকে নিয়ে মামুনকে ধরতে যান। মামুন পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ধরে নদীর পাশে ঝোপের ভেতর তাকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়। সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে মামুন তলিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন।

মাসুম বলেন, পাড়ে দাড়িয়ে তিনি দেখেছেন মাঝনদীতে বাঁচার চেষ্টা করতে করতেই তার ভাই তলিয়ে গেছেন।

তিনি জানান, এএসআই শাকিল এর আগেও মামুনকে আটক করেছেন। টাকা নিয়েছেন, মামলাও দিয়েছেন। এতে মামুনের মনে পুলিশ আতঙ্ক ছিল। পুলিশ দেখে আতঙ্কে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

তবে এএসআই শাকিল আহম্মেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামুন দস্যুতা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে যান।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *