পিরোজপুরের গুয়ারেখা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা থেকে কাঁদা ছোড়াছুড়ির অভিযোগ
পিরোজপুর জেলার সরুপকাঠি থানার পাটিকেলবাড়ী থেকে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই শ্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে যায় শিক্ষিত সমাজ এগিয়ে যাই আমরা। এখন দেখছি -৭০ নং পাটিকেলবাড়ী বিশাল সরকারি বিদ্যালয়ে এর ক্ষুদ্র ঘটনা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটানোর নেপথ্যে এক শিক্ষিকা কুদরাতুন্নেছা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে বহু দিন ধরে শিক্ষকদের মধ্যে একটা গ্রুপিং এর ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামান্য এক ঘটনা এক বাচ্চার কান ধরার বিষয়ে স্কুল কতৃপক্ষ সুন্দর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে।
অথচ -৭০নং পাটিকেলবাড়ী বিশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথিত শিক্ষিকা কুদরাতুন্নেছা এর কারণ একের পরে এক নাটকের জন্ম হচ্ছে। নব্য জাতীয়করণকৃত শিক্ষিকা হিসেবে উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক শিক্ষকের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে । প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ শিক্ষকারা তার রোষানল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা।
-৭০নং পাটিকেলবাড়ী বিশাল সরকারি অন্যান্য শিক্ষক নুর-ই-জান্নাত, বিথীকা মৈত্র এবং সাবিনা ইয়াসমিন। নুর-ই-জান্নাত ও বিথীকা মৈত্রকে হেনস্থা করার জন্য সে পূর্বে নানান নাটক করেছে যার স্বাক্ষী আছেন অফিসের -টিইও,- এটিইও, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ ও এলাকার জনগণ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার হালদারও তার কার্যকলাপে অতিষ্ট। সর্বশেষ এহেন কূটকৌশলী মহিলা শিক্ষকের রোষানলের শিকার হন বিদ্যালয়ের অন্য আরেকজন শিক্ষক এরিনা সৈয়দ সীমা।
স্থানীয় সূত্র মতে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের তদন্তে জানা যায় গত -২২/০৩/২০২২ইং তারিখে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠদান কালে শিক্ষক এরিনা সৈয়দ সীমা কতিপয় শিক্ষার্থীদের পড়া না হওয়ার কারণে কান ধরান। আর সেই আলোকে তুচ্ছ ঘটনার সত্যতা যাছাই বাছাই না করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন । শিক্ষিকা কুদরাতুন্নেছা। যে ছাত্র ৩১/০৩/২২ইং তাং পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত তার অভিভাবক হঠাৎ করে ০৭/০৪/২২ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বরাবরে শিক্ষিকা এরিনা সৈয়দ সীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে।
এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভুলবশত একটা ঘটনার জন্ম হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ০৯/০৪/২২ইং বিষয়টি সমাধান দেয় বলে জানান। অথচ স্কুল প্রতিষ্ঠানের বাহিরে তৃতীয় শক্তির মাধ্যমে তিলকে তাল করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নেমেছে অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাইমারী শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। গন মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের জানামতে স্কুল শিক্ষিকা কুদরাতুন্নেছার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত কোন রকম আইনানুগ ব্যবস্থা নেইনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আমরা কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো।