পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ,যাতায়াত করেন ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে, মধ্যযুগীয় কায়দায় চলে নিজস্ব বাংলোয় শালিসি।


গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ২নং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকিমুল ইসলাম মকিম, দীর্ঘদিন ধরে নানারকম সরকারি কাজের অনিয়ম দুর্নীতি ও জনসাধারণের সাথে অশোভন আচরণ ও প্রতারনা করে যাচ্ছেন। খাল খনন ও বৃক্ষরোপণে অনিয়ম। যেখানে খননের ৩০শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেটা করেনি,এমন কি এলসিএস সদস্যদের নামের যে তালিকা করা হয়েছে তন্মধ্যে অনেকেইর মৃত্যু ব্যক্তিির নাম রয়েছে। এছাড়া শালিসের নামে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমান অর্থ।
অত্র ইউনিয়নের জনৈক হাফিজুর রহমানের পরিবারকে শালিসি জরিমানা করে,হাতিয়ে নেন দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। পরিবারটি অতি দরিদ্র।সংসারের মূখ্য ভূমিকা পালন করে তার অসহায় মা। এই পরিবারটি ও রক্ষা পায়নি চেয়ারম্যানের হাত থেকে। জরিমানা কমানোর জন্য অসহায় মা অনুরোধ করতেই শুনতে হয়েছে বকা-ঝকা সহ বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি। উপায়ন্তর না পেয়ে জরিমানার টাকা জোগার করতে বিক্রি করতে হয়েছে ভিটা-মাটি সহ তার শেষ সম্বলটুকু, পালের গাভীটিও।জরিমানার টাকা পেয়ে চেয়ারম্যান মকিম পাড়ী জমান ঢাকায়। হাফিজের পরিবারের সমস্যার সমাধান তিনি করেননিি। এলাকায় সরকারী ভাবে গরু দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খালেক শরীফের মত অনেকের থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা।
উনার নিকট থেকে পাচ হাজার টাকা অগ্রিম নেন।এখন পর্যন্ত গরুতো পেলই না।বরং টাকা ফেরত চাইলে আক্রমণের হুমকি। এছাড়াও জহুর আলীর কাছ থেকে চৌকিদারী চাকুরী ও ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা নেন। চাকুরী- ঘর কোনটাই আজও পেল না।টাকা চাইলে পায় শুধু হুমকি -ধামকি। উক্ত ইউনিয়নের গোরা মোল্লার সাথে পরস্পর ধান কাটা নিয়ে শালিসির জরিমানার পাওনা দশ হাজার টাকা আজঅব্দি দেয়নি চেয়ারম্যান। এরকম অসংখ্য শালিসি,চাকুরির নামে মানুষের সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নেন অর্থ। পরিষদের প্যাডে রাষ্ট্রীয় লোগো ও নিজ নামের ই – মেইল আইডি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কাজ হাসিল করেন। কোন দানবীর অত্র ইউনিয়নের জনগনকে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দান করলে সেখান থেকেও উনি লাভবান হয়েছে, এমন প্রমানও মিলেছে। স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় – চেয়ারম্যান মকিবুল ইসলাম মকিম ছিলেন একজন দলিল লেখক, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের মত অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। যাতায়াত করেন ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে।
তৈরী করেছেন আলিসান বাংলো। যেখানে জনসাধারনের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করে,করেন শালিসি কার্যক্রম। জনসাধারণের সাথে বিরূপ আচরণ, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকর্ম অনিয়মতান্ত্রিক,ভূমি দখল, ও ইউপি সদস্য দের সাথে সমন্বয় না রাখায় গত ২০১৮ সালে সকল ইউপি সদস্যরা সহ স্থানীয় জনসাধারন, চেয়ারম্যান মকিমুল পদত্যাগ দাবি ও মানববন্ধন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- চেয়ারম্যানের আছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী। যাদের দিয়ে হুমকি-ধামকি চাদাবাজি ও মাদকের মত ভয়ংকর নেষা দ্রব্য সেবন ও বিক্রি করায়। এ ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না বলে মনে করেন।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এরকম জনপ্রতিনিধির কারনে আমাদের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি এবং সরকার এর উন্নয়ন মুলক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়।