পারিবারিক নির্যাতনে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীর আত্মহত্যা
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬ নং কাজুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাজুলিয়া মধ্যপাড়া গ্ৰামে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শহীদ হাওলাদারের মেয়ে তানিয়া (১৬) নামের একমাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত তানিয়া কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের একটি মহিলা মাদ্রাসায় ক্বারীয়ানা পর্যায়ে পড়া – লেখা করতো।
গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রীর নিজ বাড়ীতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। পাশাপাশি এই পারিবারিক নির্যাতনের কারনে আত্মহত্যার ঘটনাটিকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী লিয়াকৎ শেখের ছেলে রমজান শেখ(১৮), মোহাম্মদ শেখের ছেলে হেমায়েত শেখ (৫৫) ও আক্তার শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ কে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি ইভটিজিং করে হত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছে।
এ আত্মহত্যার ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায় গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশী লিয়াকৎ শেখের ছেলে রমজান শেখ মৃত তানিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পিতা-মাতা কে মেয়ের একাধিক অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের কথা জানালে তাৎক্ষনিক ভাবে ওই ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে মেয়ে তানিয়াকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তানিয়া (১৬) বিষপান করে। পরিবারের লোকজন কোন প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে আলোচনা করে বলে ও মেয়াদ উত্তীর্ণ বিষ খেয়েছে ওতে কিছু হবে না।
এক পর্যায়ে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যা ৬ টায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এবিষয়ে তানিয়ার মাতা রাশিদা বেগম মেয়েকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে এলাকার বখাটেদের ইভটিজিং ও অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। তবে ১ নং আসামির মা রেবেকা বেগম, বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়ের একাধিক অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা প্রকাশ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের পরিবারের ৩ জনকে ভিত্তিহীন ভাবে আসামি করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত কারি কর্মকর্তা এস আই গনেশ বিশ্বাস বলেন, আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছি, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।