পরিস্থিতি আশঙ্কাময় হলেও সচেতনতার লেশমাত্র নেই মুকসুদপুর বাসীর

মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রেড জোন ঘোষণা করে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মুকসুদপুর পৌরসভায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে রেড জোন চিহ্নিত করে আজ লাকডাউনের প্রথমদিন। গোটা জেলা জুড়ে অদ্যাবধি শনাক্ত রোগীর সংখ্যাঃ৯৮৬ জন।এবং অদ্যাবধি মৃতবরণকারীঃ১৬ জন। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তারপরও অবাধ বিচরণ করছে এলাকাবাসী। অনিয়মিতদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিকদের শুনায় নানা ধরনের নিতীকথা। অনেকেই বলে জরুরী দরকারে বের হয়েছে কিন্তু খতিয়ে দেখলে পাওয়া যায় যে অনর্থকই বের হয়েছে। সচেতনতার লেশমাত্র নেই তাদের মাঝে।

মুকসুদপুর পৌর শহরের ৪ নং চন্ডিবরদী ওয়ার্ডের দক্ষিণ চন্ডিবরদী বটতলা হতে আনসার-ভিডিপি অফিস পর্যন্ত রাস্তা, দক্ষিণ চন্ডিবরদী বটতলা হতে ডাকবাংলো পর্যন্ত ও দক্ষিণ চন্ডিবরদী পাকা ব্রীজ হতে ওমর শেখের বাড়ী পর্যন্ত। ৫ নং গোপিনাথপুর ওয়ার্ডের তিন রাস্তা মোড় হতে ছানোয়ারের বাড়ি পর্যন্ত, গোপিনাথপুর এলজিইডি জাকিরের বাড়ি হতে কিবরিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, গোপিনাথপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ হতে লিক্সনের বাড়ি পর্যন্ত, সরকারি মুকসুদপুর কলেজের পর্ব গেইট হতে আনোয়ার মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত এবং গোপিনাথপুর পঃপাড়া পেট্রোল পাম্পে দক্ষিণ পাশের নাছির মোল্যার বাড়ি পর্যন্ত। ৬ নং টেংরাখোলা ওয়ার্ডের আতিয়ার ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাড়ি হতে শরিফ বাড়ি মসজিদ পর্যন্ত, টেংরাখোলা রওশন মিয়ার বাড়ি বাড়ির দক্ষিন পাশ হতে কারিতাস অফিস পর্যন্ত, টেংরাখোলা ইকবালেল দোকান হতে আলালের স মিল পর্যন্ত এবং টেংরাখোলা সুমনের বাড়ি হতে আতিয়ারের বাড়ী পর্যন্ত ২১ দিনের লগডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।


এ সব ঝুকিপূর্ণ (রেড জোন) এলাকায় সর্ব সাধারণের প্রবেশ ও বাহির নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলেও কিছু কিছু জায়গায় জনসাধারনের চলাচল দেখা যাচ্ছে আগের মতই। সদর বাজারে ফার্মেসী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ব্যতীত অন্য সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ। জরুরী পরিসেবার ব্যবহৃত যানবাহনের সাথে আইন অমান্য করে অন্য সকল প্রকার যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুধুমাত্র সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার মাধ্যমেই সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *