পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নেই


পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। গোয়ালের গরু থেকে গোলার ধান পর্যন্ত কিছুই বাকি নেই। সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন কি খাবো, কি ভাবে বাঁচবো ভেবে পাচ্ছি না’- কান্না জড়িত কন্ঠে এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা গ্রামের বৃদ্ধ সূর্যকান্ত রায়।
মঙ্গলবার (১২জানুয়ারি)বিকেলে সূর্যকান্ত রায়(৭০) ও তার ভাই নারায়ণ চন্দ্র রায়(৬৫) এর বসতঘর, পাকের ঘর ও গোয়াল ঘরসহ ৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ৩দিন ধরে এ ২টি পরিবারের ১২জন সদস্য অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বসত করছেন খোলা আকাশের নিচে।
অগ্নিকান্ডের পরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ,জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুনসহ কিছু মানবিক ব্যক্তি নগদ অর্থ, শাড়ি-লুঙ্গি, শীতবস্ত্র দিয়েছেন। তবে তাদের প্রয়োজনের তুলনায় এসব অপ্রতুল।
নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার ভাই সূর্যকান্ত রায়ের বসত ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের বাড়িটি বিলের ফাঁকা জায়গায় হওয়ায় অন্য বাড়ির লোকজন ছুটে আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমাদের এখন নতুন করে ঘর তৈরী করার মতো কোন অর্থ সম্পদ নেই। কি ভাবে এখন জীবনযাপন করবো ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে যতটুকু পেরেছি দিয়েছি। আগামীতে দলীয় ভাবে কিছু করার চেষ্টা করবো। আমি এই অসহায় পরিবার দুটির সাহায্যে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।