পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান (পিপিএম) এর নির্দেশনায় ১৬ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ পটুয়াখালী জেলায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯,৬০০ (নয় হাজার ছয়শত) পিস ইয়াবা ও ০৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রথম অভিযানঃ- ১৬ নভেম্বর ২০২০ ইং সন্ধা আনুমানিক ০৫:৩০ ঘটিকায় দুমকি থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাতে পারে যে একটি মাদক চক্র বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল পাগলার মোড়ে অবস্থান নেয়। আনুমানিক ০৬:১০ ঘটিকায় একটি মোটরসাইকেলকে থামার জন্য বললে মোটরসাইকেলটি দ্রুত পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় এস,আই সঞ্জীব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে মোটরসাইকেলের আরোহী মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম(২৭) পিতা: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, সাং-০২ নং বাঁধঘাট, সদর,জেলা পটুয়াখালী ব্যাক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তার নিকট থেকে ৪৮ টি নিল রংয়ের জিপার প্যাকেটে মোট ৯,৬০০ (নয় হাজার ছয়শত) পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিবুল জানায় যে, সে উক্ত ইয়াবা তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকা থেকে নিয়ে আসছিল। দ্বিতীয়অভিযানঃ- অপরদিকে আনুমানিক ০৫:৩০ ঘটিকায় পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার(ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান খান এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী পৌরসভাস্থ বড় বিজ্রের টোল প্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় আভিযানিক দলটি মোহাম্মদ মনির প্যাদা(৩০) পিতা: মৃতঃ ছত্তার প্যাদা, সাং-চাউলা, থানা: আমতলী, জেলা: বরগুনা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার নিকট থেকে খাকি রংয়ের স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো ০৩টি নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগে ০৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, উক্ত মাদক সে বরগুনা নিয়ে যাচ্ছিল।
উভয় অভিযানে গ্রেফতারকৃত দুইজনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনানুগ ব্যবস্থ্যা গ্রহণে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। মাদক একটি সামাজিক ব্যধি। মাদকের বিরুদ্ধে সদাশয় সরকার শূন্য সহনশীল নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরাও মাদক নির্মূলে দিনরাত অহর্নিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও গণবিপ্লব সৃষ্টি করতঃ মাদকের সাথে জড়িত (মাদক ব্যবসায়ী, পাচারকারী ও সেবক) সকলের তথ্য দিতে সম্মানিত জনসাধারণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।