পটুয়াখালীতে কবর থেকে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরানো অক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার এবং পুনরায় দাফনঃ

পটুয়াখালীতে কবর থেকে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরানো অক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার এবং পুনরায় দাফনঃ

গত ২৯ মে ২০২১ সাল রোজ শনিবার সকাল ০৬:০০ ঘটিকার দিকে দশমিনা উপজেলার ১ নং রণগোপালদী ইউনিয়নের চরঘুনি গ্রামের মতি ফকিরের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের নদী ভাঙ্গণ কবলিত স্থান থেকে প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে দাফন সম্পন্ন একটি মৃত দেহ অক্ষত অবস্থায় উত্তোলন করা হয়। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ,উক্ত মৃতদেহটি ৪৬ বছর আগে মৃত্যুবরণ করা হাশেম ফকির নামক এক ব্যক্তির। তিনি একই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিন ফকিরের ছেলে। সরজমিন পরিদর্শকদের বিবৃতিতে জানা গেছে উক্ত ফকির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানটির কিছু অংশ ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

জানা যায়, নদী ভাঙ্গণে কবরটির কিছু মাটি সরে গেলে গতি ২৭ মে ২০২১ সাল বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০০ ঘটকার সময় বাড়ির ও স্থানীয় লোকজন কাফনে মোড়ানো অবস্থায় মৃতদেহটির পায়ের দিকের অংশ সাদা কাফনে মোরা অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তী পদক্ষেপ অনুসারে স্থানীয় বাসিন্দা ও পারিবারিক আত্মীয় সজনবৃন্দ নদী ভাঙ্গণের আশংকায় গত ২৯ মে ২০২১ সাল রোজ শনিবার কবর খুঁড়ে অক্ষত ও সতর্কতার সহিত মৃতদেহটি উত্তোলন করেন। মৃতদেহটি দেখার জন্য উৎসুক জনগন ভীরকরেন ও হতবাক হয়ে যান। মৃতদেহের কাফনের কাপড়টি ছিল ধবধবে সাদা। বাঁধনসহ কাফনের কাপড়টি ছিল শক্ত করে আটকানো। মৃতের ছেলে সরকারি জগতি চিনিকল কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী ইক্ষু উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দল খালেক মিয়া বলেন, আমার পিতা ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন।

মৃতের নাতী বর্তমানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষার জন্য মাওলানাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ ও আলাপ-আলোচনার করে ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক আমার দাদার মৃতদেহ উত্তোলনের পর উহার পবিত্রতা বজায় ও রক্ষা করে ২৯ মে ২০২১ সাল রোজ শনিবার সকাল ০৭:০০ ঘটিকার সময় একই গ্রামে আমাদের আরেকটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বন্যা কবলিত নদী ভাঙ্গণে কারনে অর্ধশত বছরের কবর ভেঙ্গে অক্ষত মৃতদেহ দেখতে পাওয়ার খবরটি ফেসবুকসহ লোকমুখে ছড়িয়ে গেলে শত শত উৎসুক জনতা এলাকায় এসে ভিড় করেন। দশমিনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা এ. কে.এম মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমার জানামতে কোন মুসলমানের মৃতদেহ যদি কবরে অক্ষত থাকে এবং কবর নদী ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে থাকে তবে উহা হেফাজতের জন্য পুনঃদাফন করা ইসলামের বৈধ বলে সূত্রে জানা গেছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *