নড়াইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই মাদকের রমরমা কারবার, হয়রানীর স্বীকার সাধারন মানুষ
নড়াইলের সদর পৌরসভার রুপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই প্রকাশ্য মাদক বিক্রি করা হয়। কিন্তু পুলিশ এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। মাঝেমধ্যে তাঁদের আটক করলেও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। অথচ নিরীহ লোকজনদের ধরে ফাড়িতে আটক রেখে মাদকের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। নড়াইল সদর পুলিশফাড়ির একশ গজের মধ্যে মৃত বাবু খানের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৫) দির্ঘদিন যাবত ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। ইয়াবা কারবারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্বেও আটক না করে ঐ পথে চলাচল করা পথচারীদের প্রতিনিয়ত হয়রানী করে মাদক দিয়ে চালান দেয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে রুপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহিদ এর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হয়রানীর স্বীকার স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, গত ০৮/০৫/২০২১ ইং তারিখে দুপুর ২টার দিকে আমি আমার প্রয়োজনীয় কাজে নিশিনাথতলার দিকে যাচ্ছিলাম ,এর মধ্যে সদর ফারীর এস আই জাহিদ তার সাথে এক কনষ্টেবল সাদা পোশাকে মটর সাইকেলযোগে এসে আমার গতীরোধ করার চেষ্টা করেন। আমার তাদের আচরন সন্দেহ হলে রাস্তার পাশে মুদিদোকানের সামনে এসে দাড়াতে বলি। তারা আমাকে গালি গালাজ করে দাড়াতে বললে আমার আরো সন্দেহ হয়। আমি দৌড়ে গিয়ে দোকানের মধ্যে যেখানে লোক সমাগম আছে সেখানে গিয়ে দাড়াই।
তারা মটর সাইকেল থেকে নেমে আমার সামনে এসে আমার প্যান্টের বেল্ট ধরেন, এবং বলতে থাকেন ইয়াবা কোথায় রাখছিস, আমি তাদের কথায় অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি কি বলছেন,আমি আসছি আমার কাজে, আমি ইয়াবা কোথায় পাবো এ সময় এস আই জাহিদ ও তার সঙ্গে থাকা সিভিল পোশাকে কনষ্টেবল আমার সারা শরীর চেক করেন । কিছুই না পেয়ে তারা আমাকে বলতে থাকেন তোর কাছে ইয়াবা আছে কোথায় রাখছিস বল, তখন আমি তাকে বলি স্যার ,আমার কাছে কোন কিছু নাই, আমি কোন মাদক বিক্রেতাকে চিনি না। এভাবে আমার মত সাধারন মানুষকে কেন হয়রানী করছেন। এ প্রশ্নের কোন উওর না দিয়ে তারা আমার কাছে মাদক আছে বলে স্বীকার উক্তি আদায় করার চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে কিছুই না পেয়ে সাদা পোশাকে থাকা এক জন বলে স্যার কে ১০ হাজার টাকা দে তা নাহলে তোকে মাদক দিয়ে চালান দিবে। এসময় জনগনের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে তারা বেগতিক দেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। ভুক্তভোগী পথচারী জানান, আল্লাহর অশেষ রহমত আমি যদি বুদ্ধি করে জনসমক্ষে না গিয়ে এস আই জাহিদ সামনে গিয়ে দাড়াতাম তাহলে আমাকে তিনি ইয়াবা দিয়ে যে করেই হোক চালান দিতেন । জনগনের উপস্থিতি আমাকে বাচিঁয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী রমাদাস নামে একজন জানান, কামরুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী,সে দির্ঘদিন যাবত এখানে মাদক ব্যবসা করে আসছে। আমি নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিলু খাঁন সাহেবের কাছে নালিশ দিয়েছি,পুলিশ সব কিছুই জানে। কোন অদৃশ্য কারনে পুলিশ তাকে ধরেনা সেটা আমার কাছে রহস্যজনক। নড়াইলের সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) যেখানে ইতোমধ্যে মাদকের করাল গ্রাস থেকে নড়াইলকে অনেকাংশে মুক্ত করে ফেলেছেন। সেখানে খোদ পুলিশ ফাড়ির পাশেই মাদক বেচাকেনা হয় জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।