নড়াইলে যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দুই সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে

অভিযোগ

অভিযুক্ত নারী তন্দ্রা সরকার নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের রঞ্জন সরকারের মেয়ে।নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের গুয়োখোলা গ্রামের একটি পরিবারকে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরোজমিনে গুয়ো খোলা গিয়ে এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,মুলিয়া ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের রঞ্জন সরকারের মেয়ে তন্দ্রা সরকারের সাথে সাত বছর আগে গুয়োখোলা গ্রামের খগেন ধর এর ছেলে বিশ্ব ধর এর বিয়ে হয়।

কিছু দিন তারা বাংলাদেশে থাকার পর ভালো জীবন যাপনের আশায় ভারতে চলে যান । সেখানে তন্দ্রা সরকারের দুইটি সন্তানের জন্ম হয়।সব কিছুই ভালই চলছিল। কিন্তুু সুখে থাকলে ভুতে কিলায়,ভারতে স¦ামীর সাংসারে থাকা অবস্থায় তন্দ্রা সরকার বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে আলাপ চারিতায় মেতে ওঠেন তার স¦ামী নিষেধ করলে আরো বেপরয়া হয়ে ওঠে তন্দ্রা, অশান্তি শুরু হয়। হঠাৎ ছোট সন্তান টি পানিতে ডুবে মারা গেলে তন্দ্রা স্বামীকে কোন কিছু না জানিয়ে তার বাবার বাড়ি বাংলাদেশে চলে আসে ।বাংলাদেশে এসে তার সম্পর্কে দেবর গুয়োখোলা গ্রামের পার্থ বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন ।একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।

আর এ সরলতার সুযোগ নিয়ে তন্দ্রা সরকার পার্থ বিশ্বাস কে ফাসানোর জন্য দুই মাস পূর্বে শাঁখা সিদূর পরে সাতঘরিয়া ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সুন্দরী বালা বাগচী কে সাথে নিয়ে পার্থ বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হন।এবং পার্থ বিশ্বাসের মাকে বলেন ,আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করেছে।আমি আজ থেকে আপনার বাড়িতেই থাকবো। ঐদিনই এলাকাবাসী এই ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং একপর্যায়ে পুলিশে খবর দেয়।শেখহাটি ইউনিয়নের বিট পুলিশ অফিসার সোহরাব হোসেন এসে ঘটনার তদন্ত করে।তন্দ্রা সরকার,ও এলাকাবাসীর বক্তব্য গ্রহন করে।ঘটনার সত্যতা প্রমান করতে না পারায় তন্দ্রা সরকারের অভিভাবকদের ফোন করেন বিটপুলিশ অফিসার।

তারা ঘটনাস্থলে আসতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তার পর উপায় না পেয়ে মহিলা মেম্বার সুন্দরীবালা বাগচীর জিম্মায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তন্দ্রা সরকার কে,পার্থ বিশ্বাসের মা খুকু বিশ্বাস বলেন , তন্দ্রা সরকার আমার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়ে যায়। পার্থ বিশ্বাসের পিতা প্রকাশ বিশ্বাস(হরিচান) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন , আর এ ঘটনাকে পুজি করে মুলিয়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার সুন্দরীবালা বাগচী সহ নাম নাজানা আরো কয়েকজন আমার বাড়িতে এসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।চাঁদা না দিলে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং বলে আমাদের সাথে আপষ না করলে তোমার ছেলেকে মামলায় ফাসিয়ে জেল খাটাব। আমি উপায় না পেয়ে জমি বন্ধক রেখে এ পর্যন্ত ১,০৭০০০ টাকার বেশি তাদের হাতে তুলে দিয়েছি । তবুও তাদের মন ভরেনি । তারা এখন আরো টাকা চাচ্ছে। পার্থ বিশ্বাসের পরিবার ও এলাকাবাসি প্রশাসনের নিকট তন্দ্রা সরকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *