নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রায়গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর, চায়ের দোকান ও বৈদ্যুতিক মিটারসহ আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় দুই গৃহবধূসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে চারজনকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষ করিম শেখের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে রায়গ্রামের জিয়াউর মোল্যার বাড়িঘরসহ চায়ের দোকান ভাংচুর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রায়গ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাবু শেখ এবং করিম শেখ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বুধবার বিকেলে সাবু গ্রুপের জাহাঙ্গীর মোল্যার (৩২) ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীর স্থানীয় ফেদী হাট থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তার ওপর হামলা হয়। এরপর ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীর মোল্যার ভাই জিয়াউরের বাড়িঘর, চায়ের দোকান, গোয়ালঘর ও বৈদ্যুতিক মিটারসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা।
এমনকি রান্নাঘরের চুলাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ সময় জিয়াউর মোল্যার স্ত্রী সিমা খানম (২৮) ও তার ভাবী ঝর্ণা বেগমকে (৩৫) মারধর করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের মাতব্বর করিম শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন-নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাবু শেখ (৪৪) এবং প্রতিপক্ষের আলমগীর শেখ (৩৫), শামসু শেখ (৪০) ও রহিম শেখ (৪৫)। এদের বাড়ি রায়গ্রামে।