নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউপির সাবেক মেম্বার কামেলের বিরুদ্ধে ভাতা কার্ড নিয়ে নানান অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ


নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য খন্দকার কামরুল ইসলাম কামেল মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড বিতরনে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়াগেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বিগত দুইবার যোগ্য প্রার্থীর অভাবে ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচীত হয়েছিলেন কামরুল ইসলাম@ কামেল ।
ইউপি সদস্য নির্বাচীত হয়ে দূর্ণীতি স্বজনপ্রীতি করে ওয়ার্ডবাসীদের তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন এই কামেল ।এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতনা।মুখ খুললেই নেমে আসতো অত্যাচার নির্যাতন,তাই এবার নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে ওয়ার্ডবাসী তার দাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কামেল মেম্বরের । আর এখন ওয়ার্ডবাসী তার দূর্ণীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। কামরুল ইসলাম কামেল মেম্বর থাকা কালীন তার স্ত্রী আছিয়া বেগম শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং সচল থাকা সত্যেও দুঃস্থ অসহায় প্রতিবন্ধীদের না দিয়ে তার সুস্থ স্ত্রীর নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ৩ নং ওয়ার্ডের একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ও বিধবা ভাতার কার্ড করতে হলে প্রত্যেককে গুনতে হয়েছে ৪০০০-৫০০০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে হতো কোন কার্ড। কার্ডের নাম দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে কামেল মেম্বরই এ সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওয়ার্ডবাসীর কাছ থেকে। আর তার দূর্ণীতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ তার স্ত্রী,যে কিনা সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ হওয়া সত্যেও তার স্বামী মেম্বার হওয়ার কারনে দূর্ণীতির মাধ্যমে তার স্ত্রীকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। হামেলা খাতুনসহ একাধিকরা অভিযোগ করেন, কোন অসহায় ও দুস্থ পরিবার তার কাছে গেলে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে গায়ে হাত তুলে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতেন সাবেক এই ইউপি সদস্য কামেল। প্রায় প্রতিটি ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সব কিছু টাকা দিয়ে করতে হয়েছে তার আমলে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের। সাবেক মেম্বর খন্দকার কামরুল ইসলাম কামেল মেম্বরের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।