নীলফামারীতে ইজিবাইকচালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে নীলফামারিতে গিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে সেটি ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে আবার ঢাকায় ফিরে আসে।’ এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করে থাকে বলে জানিয়েছেন সিআইডি)।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির কর্মকর্তারা আরও জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১১টার দিকে নিহত আবদুল হালিমের (৪৫) ইজিবাইকে যাত্রীবেশে চড়ে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে চাপড়া সরমজানি ইটাপির ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় নিহত ইজিবাইকচালকের লাশ ফেলে দেয়। সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির খুলনা ও রংপুর বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাসুম আলী (২৩),পিতাঃ মোঃ এনতাজুল হক, সাদের আলী (২২) পিতাঃ মোঃ ছামাদ আলী, এবং মোঃ সমবারু (২৫)। তারা নীলফামারী সদর উপজেলা চাপড়া সরমজানি (চেয়ারম্যান পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। ও এদের মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।রোববার তাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মইকুলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ইজিবাইক বিক্রির চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয়। সিআইডি জানায়, তারা একটি সংঘবন্ধ চক্র, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি করে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন - সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর ও সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া) জিসানুল হক।