নাজিরপুরে খেয়াঘাট নয় যেন ময়লার ভাগাড়, দূষিত হচ্ছে নদীর পানি ও পরিবেশ
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী নাজিরপুর বাজারের খেয়াঘাটে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এসব বর্জ্য গড়িয়ে নদীর পানিতে মিশে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি ও পরিবেশ। খেয়াঘাটটিকে দেখলে মনে হয় যেন ময়লার ভাগার।
নাজিরপুর উপজেলায় আসতে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসীর একমাত্র বাহন এই কালিগঙ্গার নদীর উপরে খেয়া। খেয়াঘাটে ফেলা ময়লার দূর্গন্ধ এবং নদী দূষণের কারণে নদীপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়া নাজিরপুরের খাবার হোটেলের ব্যবহারিত পানি ও এই ঘাট থেকে নেওয়া হয়।
নাজিরপুর উপজেলায় আসতে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসীর একমাত্র বাহন এই কালিগঙ্গার নদীর উপরে খেয়া। খেয়াঘাটে ফেলা ময়লার দূর্গন্ধ এবং নদী দূষণের কারণে নদীপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়া নাজিরপুরের খাবার হোটেলের ব্যবহারিত পানি ও এই ঘাট থেকে নেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান,নাজিরপুরের মুরগীর ব্যবসায়ীরা ও বাজারের ঝাড়–দার বাজারের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা এই ঘাটে ফেলে দেন। এ কারণে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। নদীতে বর্জ্য ও ময়লার স্তুপ থাকায় দুর্গন্ধে পানির কাছে যাওয়া যায় না। তাদের দাবি, ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
খেয়াঘাটের মাঝি শাওন ও ইমরান জানান, মানুষের সামনেই এ মায়লাগুলো ফেলা হয় আমরা নিষেধ করলে আমাদের উপর চরাও হয়ে ওঠে। ময়লা পচার দুর্গন্ধে নাজেহাল অবস্থায় আছি। এখন যে অবস্থা খেয়া বন্ধ করে ঘাটে বসার কোন কায়দা নাই।
নাজিরপুর সদর বাজার কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান খান টুবুল জানান, বিষয়টি আমার নজরে পড়েছে আমি দ্রæত এর ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ্ সাদীদ বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যস্থা নেওয়া হবে।