নাজিরপুরেফসলীজমিতে লোনাপানি টেকসই বেড়িবাধঁনির্মানের দাবী এলাকাবাসীর


পিরোজপুরের নাজিরপুরের দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর বির্স্তীন ফসলী জমিতে লোনাপানিঢুকে ফসলের ব্যপকক্ষতি হচ্ছে। ফসলী জমিতে লোনাপানি ঢোকায় প্রায় ১ হাজার কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলের কৃষকেরএকটি টেকসই বেড়িবাধঁ নির্মানের দাবী ক্রমশই জোড়ালো হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) পিরোজপুর অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমএমপি (পিরোজপুর-১) লোনাপানির বিষাক্ততা থেকে ফসলী জমি রক্ষায় পানিসম্পদ প্রতি মন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বরাবরে একটিডিও লেটার প্রদান করেন। উক্ত ডিও লেটারে তিনি উল্লেখ করেণ অবদা প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত তরুরবাজার হতে দেউল বাড়ী নদী পাড় হয়ে সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ২০ কিঃমিঃ টেকসই বেড়িবাধঁ নির্মান অতীব জরুরী।
তিনি আরো উল্লেখ করেন উক্ত বেড়িবাধঁটি নির্মান হলে লোনা পানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসলী জমি রক্ষা সহ বরিশালের বানারী পাড়া, বিশারকান্দি এবং স্বরুপ কাঠী উপজেলাবাসীর বঙ্গবন্ধুর সমাধী কমপ্লেক্সে যাতায়াত সহজতর হবে। তৎকালীন পানি উন্নয়ন বোডের্র প্রকৌশলী দিপকরঞ্জন বড়াল ৩রা ডিসেম্বর উক্ত প্রকল্পের কারিগরি প্রতিবেদন ও গুগল ম্যাপ বরিশাল সার্কেলের প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রেরণ করেন। গত দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে ও প্রকল্পটি বরাদ্দের
কোন অগ্রগতি নেই। উর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষের কাছে প্রকল্পটি বরাদ্দ চাওয়া এলাকাবাসীর এখন প্রানের দাবী।
বিলডুমরিয়ার কৃষক বিপুল মন্ডল ও স্বপন মন্ডল জানান, প্রতিবছর লোনা পানি আমাদের ফসলী জমিতে ঢোকায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়। বেড়িবাধঁটি নির্মান করাহলে আমরা প্রায় ১ হাজার কৃষক উপকৃত হব।
দেউল বাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার ওয়ালিউল্লাহ জানান, এলাকার জনগণ ও এ অঞ্চলের কৃষি রক্ষায় দ্রুত দুর্যোগসহনশীল টেকসই বেড়িবাধঁ নির্মান একান্ত প্রয়োজন।
এ ব্যপারে পিরোজপুর পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মেহেদীহাসান জানান, গত দুইবছর আগে প্রকল্পটি জমা দেয়া হয়েছে তবেএখন ও কোন রেসপন্স পাচ্ছিনা। আমিএখানে যোগদান করে বিভিন্ন উপজেলায় ৫৬৪ কোটি টাকার ৫টি প্রকল্প জমা দিয়েছি। তারমধ্যে এ প্রকল্পটি নেই। তবে আমি পুনরায় এ প্রকল্পটি আবার পাঠাবো।