জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রতিনিধিঃ নবীনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। রবিবার ১২জুলাই আনুমানিক রাত আটটার দিকে বড় বাজারের মোহন লাল মিত্রের মোহন হার্ডওয়ার স্টোরে অগ্নিকান্ড ঘটলে এই ক্ষতি সাধিত হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা প্রায় সোয়া এক ঘন্টার প্রাণপণ চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনিতে সক্ষম হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহর রক্ষাবাধের পাশেই মঠের গোড়ায় অবস্থিত নবীনগর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মনির হোসেনের তিনতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটির নীচ তলার ভাড়াটিয়া মোহন হার্ডওয়ারে আগুন লাগলে বন্ধ দোকান থেকে পথচারীরা প্রথমে ধোয়া দেখতে পায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানের ভেতর আগুনের শিখা জ্বলতে দেখে আশপাশের ব্যবসায়ীগণ ও পথচারীরা। মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নারায়নপুরে গত বছর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মিত হলেও শুধুমাত্র উদ্ভোদন না হওয়ায় এর খেশারত দিতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নবীনগরে ফায়ার স্টেশন সার্ভিসটি এখনও চালু না হওয়ায়, আগুন নেভাতে শত শত সাধারণ মানুষকে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক বেগ পোহাতে হয়েছে। এ কাজে ড্রেজারে বালি তোলার শ্রমিকরা যথেষ্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
অনেকেই অভিযোগ করেন, আগুনের শিখা এতটাই ভয়ংকর রুপ নেয় যে কোনভাবেই আগুনের সামনে কেউ যেতে পারছিলোনা। আবার অনেকেই ভীর জমিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত থাকায় কিছুসময় আগুন নিয়ন্ত্রনে বাধাগ্রস্ত হয়। তবে ধুপের আগুন থেকে নাকি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত সঠিক বলা যাচ্ছেনা এখনো। নিচ তলার আগুনের শিখায় ২ তলায় অবস্থিত ভবন মালিকের (বাজার কমিটির সভাপতি) অফিসকক্ষের এসি গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খোজ নিয়ে জানা গেছে। এই ভবনের ৩য় তলায় গ্রামীনফোন ডিস্ট্রিবিউটর শাকিল ট্রেডার্সের অবস্থান।
শাকিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাকিল রেজা জানায়, আল্লাহর রহমতে তার প্রতিষ্ঠানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকার মালামালের ক্ষয়-হ্মতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রাথমিক ধারনা করেছেন। আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগরের পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস,ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম ও নবীনগর থানা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুনের ভয়াবহতা দেখে হতচকিত হয়ে প্বার্শবর্তী উপজেলা মুরাদনগরের ফায়ার সার্ভিসকে মুঠোফোনে অবগত করেন। এবং ঘটনাস্থলে যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে না পারে সেই জন্য নবীনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে অগণিত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দীর্ঘ ১ঘন্টা ২৭ মিনিট চেষ্টা করে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলে মুরাদনগরের ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
এই সম্পর্কে নবীনগর পৌরসভা মেয়র শিব শংকর দাস বলেন,আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৎক্ষনাৎ আগুন নিভানোর জন্য নদী থেকে পানির ব্যবস্থা করি এবং ০৭ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর শ্যামল সে অগ্নি নির্বাপক গ্যাস সিলেন্ডার নিয়ে এসে আগুন নিভাতে সাহায্য করেন। তাছাড়া আমাদের পৌর এলাকার নারায়নপুরের ফায়ার সার্ভিসটি চালু না থাকায় প্বার্শবর্তী উপজেলা মুরাদনগরের ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি, মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে দ্রুত আমাদের ফায়ার সার্ভিসটি চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।