নদীর চরের মাটি কেটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানা গুনল বরিশালের দুই ইটভাটা
বরিশাল নগরী ঘেঁষা কীর্তনখোলা নদীর পার ঘেঁষা চরের মাটি কেটে ব্যবহারের দায়ে দুই ইটভাটা মালিককে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত মঙ্গলবার পরিচালিত অভিযানে মাটি কাটায় ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের নির্বাহী হাকিম ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। অর্থদণ্ড পাওয়া ইটভাটা দুটি হলো- বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার ফুজি ব্রিকস ৬ লক্ষ টাকা ও একই এলাকার আরিফ ব্রিকসকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফুজি ব্রিকসের পক্ষে নুরু হোসেন সরদার এবং আরিফ ব্রিকসের পক্ষে মনির হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করা হয়।
বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ফুজি ব্রিকস থেকে ছয় লাখ টাকা এবং আরিফ ব্রিকস থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এসময় একটি এস্কেভেটর মেশিন জব্দ করে গ্রাম পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। মালিকের সন্ধান পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কীর্তনখোলা নদীর সদর উপজেলার চরমোনাই, পশুরিকাঠী ও গিলাতলী এলাকার চর থেকে মাটি কাটছিল ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানার পর ওই তিনটি স্থানে আকস্মিক অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এরপর মাটি কেটে নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ইটভাটার মালিককে ঘটনাস্থলে এনে জরিমানা করা হয়। তারপর পদ্মা ব্রিক্সকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ভেকু জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের কাছে জিম্মায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে আর কখনো এমন কাজ করবেন না বলে তারা মুচলেকা দেন। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।