নকশা পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণ করায় গোবিন্দগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংবাদ সম্মেলন

বাঁধের মূল নকশা পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণ করায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক। নকশা বহিভূত বাঁধের কারণে এক কৃষকই তাঁর ফসলি চার বিঘা জমি হারিয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুর ইউনিয়নের তালুক সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিন আকন্দের ছেলে ময়েন উদ্দিন আকন্দ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে “এলজিইডি” ও “জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)”র অর্থায়নে গোবিন্দগঞ্জের বড়দহ সেতু থেকে সাঘাটার ত্রিমোহনী সেতু পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

বাঁধ নির্মাণ করছে “বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি”। নিয়ম অনুসারে নতুন বাঁধ নির্মাণে সরকারি জায়গা ব্যবহার করার কথা। কিন্তু সরকারি জায়গা নিচু হওয়ায় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানা জমি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করছে। এই বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ভাইয়ের সহযোগিতায় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গা ব্যবহার না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় নকশা বহিভূত বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে তিনি তাঁর ৪ বিঘা জমি হারিয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, তাদের জমিতে জোবপূর্বক বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ করায় বাঁধ নির্মাণকারী “বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি”র সভাপতি সজিব আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক নওসা মিয়া, হরিরামপুর ইউপির সাবেক মেম্বার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, স্থানীয় যুবক বিপুল আকন্দ, সাদা মিয়া ও ফিরোজুল ইসলাম তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

স্থানীয় ওই জনপ্রতিনিধির ক্ষমতায় তাদেরকে বাঁধ নির্মাণে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি এবং নির্মাণাধীন বাঁধের বিল তোলার আগে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। ময়েন উদ্দিন বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিল স্থগিত ও বাঁধ নির্মাণের অনিয়ম তদন্ত করতে ৫ আগষ্ট গাইবান্ধ জেলা প্রশাসক ও এলজিউডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পক্ষে মনির উদ্দিন বলেন, সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে সেই জায়গা থেকে ২০ হাত দূরে সরকারি খাস জায়গা। কিন্তু সরকারি খাস জায়গায় বাঁধ নির্মাণ না করে তাদের ফসলি জমিতে নকশা বহিভূত ভাবে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেভাবে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তাতে তাদের অন্য জমিতেও ফসল উৎপাদন মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *