নওগাঁর রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে নতুন দলিল লেখখরা দলিল সম্পাদন করতে গেলে পুরাতন ও নতুন দলিল লেখক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহত নতুন দুইজন দলিল লেখককে ও সমিতিভূক্ত তিনজন দলিল লেখককে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করনো হয়েছে। আর বাঁকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বরিবার (৫ জুন) বিকেলে রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের ভিতরে ও বাহিরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের সমিতির বাহিরে থাকা বেশ কিছু দলিল লেখকরা রবিবার বিকেল আনুমানিক পৌঁনে ৩ টার দিকে দলিল সম্পাদন করার জন্য দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট জাম দিতে যায়। এ সময় সমিতিভুক্ত দলিল লেখকরা নতুন দলিল লেখকদের বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারপিট ও সংঘর্ষ হয়। এতে সমিতির বাহিরের থাকা নতুন দলিল লেখকদের মধ্যে এরশাদ হোসেন, ইলিয়াস হোসেনসহ মোট ৭ জন আহত হয় এবং সমিতিভুক্ত দলিল লেখকদের মধ্যে আবু সাইদ চৌধুরী, প্রবীন চন্দ্র ও মামুন হোসেন আহত হয়েছে।

সমিতির বাহিরে থাকা নতুন দলিল লেখক সাদেকুল ইসলাম সেলিম জানান, আমরা সমিতির বাহিরে ১১ জন দলিল লেখক রয়েছি। এদিন বিকেলে দলিল লিখে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দলিল সম্পাদন করতে গেলে অফিসের সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে রড়, পাইপ ও লাঠি দিয়ে সমিতিভুক্ত দলিল লেখকরা আমাদেরকে মারপিট করেন। এতে আমাদের পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত দুইজন অশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাফিজার রহমান বাচ্চু বলেন, হাই কোর্টে নতুন দলিল লেখকদের লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হাই কোটে থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে গেলে শুনানিতে মামলাটি খারিজ হয় এবং ওই মামলায় হেরে জায় তারা। এরপরেও নতুনরা জোর করে দলিল লিখতে চায়।

রবিবার বিকেলে হঠাৎ করেই পরিকল্পিতভাবে তারা এসে আমাদের উপর অতুর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কোন দলিল লেখক দলিল সম্পাদন করতে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে গেলে কেউ বাধা প্রদান করতে পারে না। ঘটনাটির সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।