নওগাঁর রাণীনগরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ


নওগাঁর রাণীনগরে যৌতুকের দাবিতে রিয়া মুনি (১৯) নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছাতারদিঘী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ঘটনাটির পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রাণীনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা রুবেল আলী বাদী হয়ে রিয়ার স্বামী মিলন মিয়া, শশুর নুর মোহাম্মদ, শাশুরী মনিকা, ননদ আঙ্গুর, নন্দা, জাসহ এজাহারনামীয় ৭ জনকে ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রুবেল আলীর মেয়ে রিয়া মুনির ছাতারদিঘী উত্তরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মিলন মিয়া (২৫) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিয়ার শশুর বাড়িতে পারিবারিক কলহ চলছি। আবার যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই রিমাকে তার স্বামী মিলনসহ শশুর, শাশুরী এবং শশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে অসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে যৌতুককে কেন্দ্র করে গৃহবধূ রিয়ার সাথে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে ম্বামী, শশুর, শাশুরীসহ শশুর বাড়ির লোকজন রিয়াকে মারপিট করে রশি দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। গৃহবধূর বাবা রুবেল আলী জানান, যৌতুকের দাবিকৃত অর্থ না পেয়ে আমার মেয়েকে তার স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও জানান তিনি। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গৃহবধূ রিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।