নওগাঁর রাণীনগরে ইটের প্রাচীর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগরে ইটের প্রচীর ও টিনের গেট লাগিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ওই গ্রামের ১০-১২ টি পরিবারের লোকজনকে যাতাযাত করতে হচ্ছে জমির আইল ও অন্যের পুকুরের কিনারা দিয়ে। এদিকে চলাচলের রাস্তা না পাওয়া চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই পরিবারগুলোর শতাধিক মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঝিনা পূর্বপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি ভূক্তভোগী পরিবারগুলো বলেও অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝিনা পূর্বপাড়া গ্রামের সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে চলাচলের জন্য মেইন রাস্তা থেকে স্বপনের বাড়ি হইতে গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা একটি কাচা রাস্তা ছিলো।

গত প্রায় ১০ বছর আগে সেই রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইট সোলিং করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে গত ২ বছর আগে ওই গ্রামের মন্টু প্রাং ও তার ভাই ওসমান গনি লেবু তাদের জায়গাতে বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই সময় তারা দুই ভাই রাস্তা না ছেড়ে উল্টে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির পূর্বদিকে বাড়ির সাথে ইটের প্রচীর দিয়ে এবং পশ্চিমদিকে টিনের গেট লাগিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তি এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিস্পত্তির জন্য গ্রামে বসে তাদের দুই ভাইকে রাস্তা খুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলেও অদ্যাবদি পর্যন্ত তারা জোরপূর্বক রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী ওই গ্রামের সাদ আহম্মেদ স্বপন জানান, মন্টু ও লেবু তারা দুই ভাই সরকারি বিধিমোতাবেক রাস্তা না ছেড়েই দীর্ঘদিনের রাস্তায় উল্টে ইটের প্রচীর ও রাস্তায় টিনের গেট লাগিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে আমার পরিবারসহ মহল্লার ১০-১২ পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষ কখনো জমির আইল ও অন্যের পুকুরের কিনারা দিয়ে আবার মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তসহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ ও মৌখিকভাবে জানিয়েও এর কোন প্রতিকার মেলেনি।

দ্রুত এ বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব জানান, আমরা বাব-দাদার আমল থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতাম। কিন্তু গ্রামের মন্টু ও লেবু তারা দুই ভাই জোরপূর্বক রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছে। আমরাসহ পাড়ার লোকজনের মাঠে উৎপাদিত ফসল রাস্তা দিয়ে ঘরে তুলতে পাড়ছিনা। ফলে রাস্তার অভাবে অন্যের জায়গা দিয়ে ঘরে ফসল তোলাসহ চলাচল করতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে তাদের বার বার বলা হলেও তারা রাস্তাটি খুলে দেননি। দ্রুত এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন ওই গ্রামের ভূক্তভোগী লোকজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাস্তা বন্ধকারী ওসমান গনি লেবু রাস্তার বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *