ধর্ষিত হলো নবম শ্রেণির কিশোরী
মান এবং হুশ এই দুইটির সম্নয়েই মানুষ। শুধু মানুষ হিসাবে জন্ম গ্রহন করলে মানুষ হওয়া যায় না। মানুষত্ব বোধ এবং মমত্ববোধ না থাকলে মানুষ হয়ে ওঠে ভয়ংকর নর পিশাচ।
যার গর্হিত দৃষ্টান্ত আজ জাতিকে আবার ও দেখতে হলো। বলছি লক্ষ্মীপুরের হিরা মনির কথা। লক্ষ্মীপুরে দিনে দুপুরে নিজ ঘরে হিরা মনি (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হিরা মনি স্থানীয় মো: হারুনুর রশিদের মেয়ে ও পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রী হিরা মনি সকালে একই গ্রামের তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি আসে।
তার বাবা হারুনুর রশিদ অসুস্থতার কারণে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। অসুস্থ বাবাকে দেখতে ঢাকায় যাওয়ার জন্য জামাকাপড় নিতে নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এলে দুপুরে নিজ ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।
পরে দুপুরের খাবার খেতে নানার বাড়িতে না যাওয়ায় তার নানী ওই বাড়িত এসে হিরা মনিকে বিবস্ত্র অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। হিরা মনির মামা শাহজাহান বলেন, হিরা মনি আমাদের বাড়িতে ছিল। সকালে তাকে পালেরহাট নামিয়ে দিয়ে যাই।
বিকেলে এমন ঘটনা শুনতে হবে তা কল্পনাও করিনি। যারা আমার ভাগ্নিকে হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাই। জানা গেছে, পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ফোরাম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অল ইয়ুথ সোসাইটির উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
হিরা মনি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে মানববন্ধন থেকে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন বক্তারা। পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন খান জানান, হিরা মনি মেধাবী ছাত্রী ছিল। যারা তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ দিকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার ও আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বেরা করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
হতাহতের এ ঘটনায় সচেতন মহলের সকলকেই জানিয়েছেন তিব্র নিন্দা। এদিকে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান নিহত স্কুলছাত্রী হিরা মনির বাড়িতে যান। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা যানান এ সময় তিনি হিরার অসুস্থ মা-বাবা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।