আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ রোজ রবিবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা (বিএমপি) কর্তৃক আয়োজিত “ওপেন হাউজ ডে ” উপলক্ষে মাননীয় পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুধিজনের নিকট গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন,সভায় শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে হয়তো আমাকে প্রধান অতিথি বলা হয়, তবে আমি নিজেকে কোন অতিথি হিসেবে নয়, জনগণের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল থানায় সেবার মান কেমন তা সরাসরি সবার সম্মুখে শুনে কিভাবে আরও আন্তরিক হয়ে জনগণের দোরগোড়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে পরিপূর্ণ সেবা পৌঁছে দেয়া যায় তা জানতে দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা নিয়ে উপস্থিত হই সবার নিকট। অনেকেই জানিয়েছেন, আমরা মাদক ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু সমাজ ও পরিস্থিতি বলছে তারা অপরিবর্তিত। তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, মুখোশ পরে, ঢাল ব্যবহার করে শুধু মুখে ভালো হয়েছি বললেই হবে না, ভেতর থেকে ভালো হতে হবে।

ভালোদের অবশ্যই আমরা সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবো। বিট-পুলিশিং হলো একটি নির্ভেজাল সামাজিকসেবা মাধ্যম। থানা হলো মূল সেবা কেন্দ্র ও ভরসার আশ্রয়স্থল। আমরা বরিশালের আওতাধীন প্রতিটি থানাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকায় ভাগ করে অফিসার নিয়োগ করেছি, তাঁরা স্থানীয়দের কাছের মানুষ হয়ে, ঘরের পুলিশ হয়ে, জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সর্বদা কাজ করবে। জনগণ আর পুলিশ বন্ধু হয়ে কাজ করে দুষ্ট দমনে সোচ্চার হতে হবে। আমরা সকলেই আন্তরিক,হয়তোবা দু’একজন ব্যতিক্রম থাকলে অবশ্য তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। মহামারি করোনা নিয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ে কোন অবহেলা নয়,আগের মতোই স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি পালন করতে হবে সবার।আমার জানা সত্বে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী চলাফেরা ও মানছেন না। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ও জীবন বাঁচাতে মহামারীর প্রকোপ কমিয়ে আনতে আমরা আবার বিশেষ অভিযান শুরু করবো।

বিএমপি কমিশনার, সভায় আগত এলাকাবাসীকে নগরীর আবাসিক হোটেলে কোন অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে কি-না জানতে চাইলে, সকলেই এক বাক্যে সন্তোষ প্রকাশ করে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে পুলিশের যথেষ্ট প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আগে কি ছিলো জানা নেই, আমরা অনৈতিক কর্মকান্ডে জিরোটলারেন্স নীতি নিয়ে একটি নতুন বরিশাল দেখতে চাই। কোথাও কোন অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে কি-না জানাবেন এবং তথ্য দানকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন থাকবে এবং অতি দ্রুতগতিতে অভিযান চালানো হবে। সভায় তিনি জনগণের আন্তরিকতা ও তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধ দমন করে একটি জনমুখী গণমুখী পুলিশিং এর মাধ্যমে নিরাপদ নগরী উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সভায় উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) জনাব প্রলয় চিসিম বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করছি জনগণের কাছে পৌঁছাতে, আপনাদের সংশ্লিষ্টতায় সেবার মান আরও বেগবান করতে একান্ত বধ্য পরিকর। উপ-পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) দক্ষিণ জনাব মোঃ মোকতার হোসেন (পিপিএম-সেবা) বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

কোন অফিসারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সেবা পৌঁছে দিতে গাফিলতির অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশং সেবার মান নিয়ে আমাদের গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে জানাবেন। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬ নং জাগুয়া জনাব সেলিম তালুকদার পুলিশের সেবার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,থানায় সেবার মান পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তিত পুলিশিং আমাদের আকাঙ্খার পুলিশিং। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী পুলিশ কমিশনার কোতোয়ালি মডেল থানা (বিএমপি) জনাব মোঃ রাসেল, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও স্টাফ অফিসার (বিএমপি) জনাব মোঃ আঃ হালিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক দক্ষিণ (বিএমপি) জনাব মোঃ মাসুদ রানা, সহকারী পুলিশ কমিশনার নগর গোয়েন্দা (বিএমপি) জনাব নরেশ কর্মকার, অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালি মডেল থানা বিএমপি জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম (পিপিএম) সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ।