প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ৪:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ১০:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্ণীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় এসেছি। তাই যখন কেউ মিথ্যা অপবাদ দেয়, সে অপবাদ মেনে নিতে আমি রাজি না। বিশ^ ব্যাংক মিথ্যা অপবাদ দিতে চেস্টা করেছিল। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি বলেই এতো দ্রæত গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া আসতে পারছি। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মানুষ অত্মমর্যাদা নিয়েই চলে। আমাদেরকে অপবাদ দিলে, আমরা তা মানবো না। তাই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবেন। নিজেদের সন্তান যেন কোন সময় মাদক বা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত না হয় এ ব্যাপরে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ও দরিদ্র মানুষের কল্যানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। হতদরিদ্র, বিধবা, বয়স্ক ও স্বামী পরিত্যক্তাদের আমরা ভাতা প্রদান করে যাচ্ছি। হতদরিদ্রদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার আমার বিতরণ করছি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি-উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। এমনকি যারা প্রতিবন্ধি তারা ভাতা পাচ্ছে এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও আমরা বৃত্তি উপবৃত্তি দিচ্ছি। যাতে তারাও পড়ালেখা করতে পারে সে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।
শনিবার দুপুর দেড় টায় কোটালীপাড়ায় তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ^াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় যেখানে সরকারি স্কুল বা কলেজ ছিল না সেসব উপজেলায় আমরা স্কুল কলেজ তৈরী করে দিয়েছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৩৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছে- কেউ কিন্তু প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর আমরা ২৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করেছি। অনেক স্কুল ও মাদ্রাসা আমরা এমপিও ভুক্ত করে দিয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রত্যেকটি স্কুলে আমরা ডিজিটাল ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরী করেছি। শিশুকাল থেকেই যাতে তারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পায় তার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম সকল ঘর অলোকিত করব। আজকে বাংলাদেশের সকল জায়গায়, সকল ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আবার এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে অনুরোধ করব, বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনারা সবাই সাশ্রয়ী হবেন। বিশ^ বাজারে তেলের দাম, গ্যাসের দাম সবকিছুর মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশে এমনকি লন্ডনেও প্রায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে দেড়’শ ভাগ। আমরা কিন্তু যে টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি তার অর্ধেক মূল্যে দিচ্ছি মানুষের কাছে। সেচ কাজের জন্য ২০ পারসেন্ট ভর্তুকী দিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে যাতে সেচ কাজ হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। তবে যেকথা দিয়েছিলাম ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব, সব ঘর আলোকিত করব- সেটা আল্লাহর রহমতে করতে পেরেছি। আপনারাই আমাকে সেই শক্তি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, মাতৃসদন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষকে বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দিচ্ছি। মাতৃত্বকালীন সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ভাতাও দিয়ে থাকি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ভূমিহীন পরিবারকে বিনা পয়সায় ঘর করে দেবেন। সেকাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। আমি তাঁর সে অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ করেছি। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে আমরা এখন দুই কাঠা করে জমি ও বিনা মুল্যে ঘর , জীবন জীবিকার জন্য অর্থ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন থাকবে না। জাতীর পিতার অঙ্গীকার আমরা বাস্তবে রূপ দান করব।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকরা কষ্ট করে চাষবাস করে । বর্গা চাষী যারা তারা কখনও ব্যাংকে ঋণ পেতো না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বর্গা চাষীরা বিনা জামানতে কৃষি ব্যাংকের ঋণ যাতে নিতে পারে সে ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। কৃষকদের উপকরণ কার্ড আমরা দিচ্ছি। পাশপাশি দশ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে ভর্তুকীর টাকা সরাসরি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আজকে সকলের হাতে মোবাইল ফোন। আওয়ামীলীগ সরকার আসার আগে কারো হাতে এতো মোবাইল ফোন ছিলনা। ৯৬ সালে সরকারে এসে তখনই আমরা মোবাইল ফোন দেই। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন সব তথ্য পাওয়া যায়। সব সংবাদ পাওয়া যায়। মানুষের জীবন যাত্রা উন্নত হয়েছে- সে ব্যবস্থা করেছি। কারন ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু মুখে বলা না প্রত্যেকটি অঞ্চলেই যাতে সকলে ইন্টারনেট সার্ভিস পায়, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস পায় সে ব্যবস্থা আমারা করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকটা বাড়ির আঙ্গিনায় আমার পুষ্টির বাগান করে দিচ্ছি। আমরা কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেকটা উপজেলায় কারিগরি স্কুল করে দিচ্ছি যেন সকল ছেলে মেয়ে কারিগরি শিক্ষাটা নিতে পারে। দেশে বিদেশে যাতে কাজের সুবিধা হয় সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। সমস্ত বাংলাদেশে একদিকে শত শত সড়ক সেতু নির্মাণ করেছি এবং আরেকদিকে শত শত সেতু উদ্বোধন করেছি। কোন সরকার এটা করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া যেটা হলো অবাস্তব।
তিনি বলেন, আমাদের নদীগুলো ড্রেজিং করছি, নৌপথ সচল করার পদক্ষেপ নিয়েছি। খাল বিল ,জলাধার যেগুলি আছে সেগুলোসহ আমরা অনাবাদি জমি আবাদ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমারা চাই বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। এজন্য কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে একটি বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে অনাবাদি জমি চাষা উপযোগী করতে। আর টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার দায়িত্ব আমার। কোথাও যেন কোন জমি অনাবাদি না থাকে সেগুলো আমরা পরিস্কার করে আবাদ করার সুযোগ করে দেব । যার যার জমি সে সে চাষ করবেন, ফসল ফলাবেন- সেটাই আমরা চাই। আর সে ব্যবস্থাই করে দিচ্ছি। সড়ক পথ নৌপথ সবগুলো আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যা”্ছ।ে সারা বিশে^ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। করোনা যেমন মোকাবেলা করেছি। আজকে আমরা দারিদ্র বিমোচন যা ৪০ ভাগ ছিল বিএনপি’র আমলে, আমরা তা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। যদি করোনার অতিমারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ না হতো তাহলে দেশকে আরো উন্নতির পথে নিয়ে যেতে পারতাম। তারপরেও আমি বলবো আমাদের মাটি উর্বর, আমাদের মানুষ আছে। দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো। অনেকে অনেক কথা বলেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি’র তুলনা করেন। কেউ কেউ বলেন দুই দল। এখানে একটা কথা বলতে চাই ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন ৩০০টি আসনের মধ্যে। আর আওয়ামী লীগ মহাজোট করেছিল আর বিএনপি’র ছিল ২০ দলীয় জোট। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে দুই দল এক পর্যায় হয় কিভাবে ? বিএনপি সরকারের আমলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৬৩ জেলায় বোমা হামলা, দূর্নীাতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। ওরা মানুষকে কিছু দেয়নি। মানুষের অর্থকড়ি সব লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। এমন রাজনেতিক দল তারা নিজেদের গঠনতন্ত্র মানেনা। বিএনপি’র গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী দলের নেতা হতে পারেনা। আর বিএনপি’তে আজকে একটা নেতাও তা বলেনা। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে দু’জনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ২১ আগস্টের গেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দূর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী খালেদা জিয়ার ছেলে সেই দলের নেতা। ওরা নিয়ম মানেনা । আইন মানেনা । সেই দলের সাথে আওয়ামীলীগের তুলনা চলেনা। যারা দু’টি বড় দল বলবেন তার তারা ভুল করেন। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের মানুষের সংগঠন। এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এই দল গড়ে ওঠেছে। তাই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নতি হয়। আর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ যে দলগুলো আছে এরা কারা ! অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারি জিয়া। সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছে। উচ্চ আদালতের রায় আছে। সে সময় ক্ষমতা দখলকারি অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার উচ্ছৃষ্ট বিলিয়ে যে দল তৈরী করেছিল সেই দলই হচ্ছে বিএনপি। এরা মানুষের কল্যাণও চায়না, মঙ্গলও চায়না। মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। কাজেই এদের সাথে আওযামীলীগের তুলনা চলে না। এদেশের মাটি মানুষের সংগঠন আওয়ামীলীগ। জনগণের জন্য কাজ করে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌছেছে। ইনসাাআল্লাহ- পৌছাবে।
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সৃষ্টি কর্তা আল্লাাহরই ইচ্ছা তিনি একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার স্বাধীনতার জন্য এবং আরেকজন কে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য আর মুক্তির জন্য শেখ হাসিনা। অপরদিকে সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্টপোষক বিএনপি-জামায়াত যদি আরেকবার ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানাবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বনাবে। রাজাকারদের স্বাধীনতা পুরস্কার দেবে। বাংলাদেশে আফগানিস্থানের মতো অবস্থ হবে। নারীদের ঘরের মধ্যে বোরখা পরে থাকতে হবে। বাইরে যেতে পারবে না। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়া হবেনা। মাধ্যমিক স্কুরে যাওযা হবে না। বড় বড় পদে নারীদের চাকরি হবে না। বিএনপি যাদের সাথে রাজনীতি করে তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্থান বানাতে চায়।
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিএনপি’কে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবেনা।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহজাহান খান, এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার সম্পাদক, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামূল হক শামীম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারন সম্পাক জি এম শাহাব উদ্দিন আজম, গোপালগঞ্জ পৌর সভার মেয়র শেখ রাকিব হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ^াস, আওয়ামীলীগ নেতা এস এম
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত