কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগ নৌ-বাহিনির সদস্য লাল্টু বিরুদ্ধে অভিযোগ।


দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় দেহভোগে করার অভিযোগ উঠেছে নৌ-বাহিনির সদস্য লাল্টুর বিরুদ্ধে। নৌবাহিনির সদস্য হারুন অর রশিদ লাল্টু উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের বৃত্তিপাড়ার আলাল উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলেন,গত দেড় বছর আগে কানাইডাঙ্গা গ্রামের নৌ সদস্য লাল্টুর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এর কিছুদিন পর বিষয়টি আমাদের দুই পরিবারে জানাজানি হলে লাল্টু আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতে থাকে। চলতি মাসে সে ছুটিতে বাড়ি আসে। এবং আমাকে বিয়ে করার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গত ২১তারিখ রাতে আমার সাথে রাত্রী যাপন করে। এবং সেটা কাউকে জানাতে নিষেধ করে। এরপর আবারও দুই রাতে সে গোপনে আমার সাথে আমার ঘরে রাত কাটাই ও একাধিকবার শারিরিক মেলামেশা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে নিয়ে সে মেহেরপুরে ঘুরতে যায়। সেখানে সারাদিন ঘুরাফেরার পর সন্ধায় আমাকে নিয়ে একটি হোটেলে যাওয়ার পথে সেখানকার কিছু স্থানীয় লোকজন আমাদের কে দেখে সন্ধেহ করলে তারা আমাদের পথরোধ করে, এবং আমাদের সম্পর্ক কি জানতে চাই। সে সময় লাল্টু পরিচয় দেই আমরা স্বামী স্ত্রী কিন্তু তারা তখন বিবাহের কাগজপত্র দেখতে চাই । আমরা কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তারা আমাদের উভয় পরিবারে খবর দেই। পরিবারের লোকজন আমাদের সেখান থেকে নিয়ে আসে। এবং তারপরদিন আমি লাল্টু কে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে মোবাইলে গালিগালাজ সহ ফোন করতে মানা করে। আমি কোন কুল কিনারা না পেয়ে তার বাড়ি যায়। তার বাবা আমাকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি দামুড়হুদা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করি। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আ:খালেক জানান,এ বিষয়ে মেয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।