দলীয় শৃঙ্খলা ভংগের দায়ে মুকসুদপুরে আওয়ামীলীগের ৩ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার

 গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে আওয়ামী লীগের সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দীন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও গোহালা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদত হোসেন লিটন এবং কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ মল্লিক।

আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই ৩ নেতার বহিস্কারের কথা জানান মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল আলম শিকদার। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ আলী আশু মিয়া, প্রচার সম্পাদক জাহিদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ ক্যল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন -২০২১, এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এবং দলের শৃংখলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকান্ডের দায়ে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ নভেম্বর ২০২১, ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিম্ন লিখিত ৩ (তিন) জন আওয়ামীলীগ নেতা/কর্মীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(ঞ) ও ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক তাঁদের স্ব-স্ব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাদৎ হোসেন লিটন, এবং উপজেলার কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ মল্লিক।

তিনি আরও বলেন, বহিস্কৃত ৩ নেতার বহিস্কারাদেশ চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের আগে যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভংগ করেন। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও অনুরূপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতত্ত্ব অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

preload imagepreload image